সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

প্রেমিকার বাড়ির উঠানে ছটফট করছেন যুবক, ভিডিও করছিলেন অন্যরা


একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেমিকার বাড়ির উঠানে ‘গ্যাস ট্যাবলেট’ খেয়ে মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছেন এক যুবক। নিস্তেজ হয়ে পড়ার আগে নিজেকে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। আশপাশের অনেকে ঘটনা দাঁড়িয়ে দেখলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।

সেই দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছেন বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা, কেউ–বা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করছেন। একপর্যায়ে যুবক নিস্তেজ হয়ে গেলে তাঁকে একটি স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গতকাল বুধবার রাতে এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের সামান্যপাড়া গ্রামের। ভিডিওটি গতকাল ছড়িয়ে পড়লেও ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার সকালে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারা যাওয়া ওই যুবকের নাম স্বপন প্রামাণিক (৩৫)। তিনি পাবনা সদর উপজেলার খয়সুতি গ্রামের ইমাম প্রামাণিকের ছেলে। তিনি সাঁথিয়া উপজেলার সামান্যপাড়া গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর (প্রেমিকা) বাড়িতে গিয়ে প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে ওই ঘটনা ঘটান। ঘটনার পর কথিত প্রেমিকা পালিয়ে গেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামান্যপাড়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান স্বপন প্রামাণিক (৩৫)। দীর্ঘদিন সম্পর্কের সূত্র ধরে স্বপনকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই নারী। একপর্যায়ে তিনি স্বপনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর গত সোমবার সকালে ওই নারীর বাড়িতে যান স্বপন। সেখানে গিয়ে প্রথমে তিনি নিজের হাত কাটেন। এরপরও ওই নারী বিয়েতে রাজি না হওয়ায় স্বপন গ্যাস ট্যাবলেট খান। এতে অসুস্থ হয়ে তিনি বাড়ির উঠানে গড়াগড়ি করতে থাকেন। চিৎকার করে বাঁচানোর আকুতি জানাতে থাকেন। এ সময় বাড়ির লোক ছাড়াও প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে আসেন। কিন্তু কেউ তাঁকে উদ্ধার না করে ঘটনাটি মোবাইলে ধারণ করেন। একপর্যায়ে স্বপন নিস্তেজ হয়ে পড়লে এলাকার লোকজন তাঁকে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনার পর ওই নারী পালিয়ে যান। ওই নারীর মামাশ্বশুর বলেন, খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তার আগেই স্বপন মারা যান।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, ওই ব্যক্তি ও নারী দুজনই বিবাহিত। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে স্বপনের স্ত্রী বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ