জেলা প্রতিনিধি, পাবনা : পাবনা কৃতী সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় তার নিজ শহর পাবনায় রিকশাচালক ও পথচারীদের মাঝে গোলাপ ফুল বিতরণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাজহারুল ইসলাম মানিকের পক্ষ থেকে এই ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড় ও স্বাধীনতা চত্বরের সামনে "হ্যাপি স্মাইল" ব্যানারে গোলাপ ফুল বিতরণ করা হয়।
প্রথমে আব্দুল হামিদ রোডের ট্রাফিক মোড়ে রিকশাচালক, ভ্যানচালকসহ পথচারীদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেন মাজহারুল ইসলাম মানিকের সমর্থকরা। দ্বিতীয় ধাপে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে সামনে পথচারীদের হাতে ফুল তুলে দেওয়া হয়।
ফুল হাতে পাওয়া রিকশাচালক আব্দুল করিম বলেন, আজকে ভালোবাসা দিবস জানতামই না। সকালে রিকশা নিয়ে কাজে বের হয়েছি। এখন আমাকে একটি গোলাপ ফুল দিয়েছে। খুবই ভালো লাগছে। ভালোবাসা দিবসে কোনদিন কারও থেকে আমরা ফুল পাইনি।
ফুটপাতের হকার জনি হোসেন বলেন, ফুটপাতে আজ ১০ বছর ধরে ব্যবসা করি। কেউ কোনদিন ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়নি। আজকে ভালোবাসা দিবসে ফুল পেয়ে খুব খুশি হয়েছি।
রুবেল হোসেন নামে আরেকজন পথচারী বলেন, আমাদের জেলা থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম মানিকের পক্ষ থেকে ভালোবাসা দিবসে পথচারি, রিকশাচালক, হকার ও ভিক্ষুকসহ সবার মাঝে গোলাপ ফুল বিতরণ করছেন। এটা পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগছে।
ফুলেল শুভেচ্ছা পাওয়ায় এসময় পথচারীরা মাজহারুল ইসলাম মানিককে ধন্যবাদ জানান এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু’র দীর্ঘ আয়ু কামনা করেন।
গত রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর পাবনায় আনন্দের বন্যা বইতে থাকে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের শিবরামপুর মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন।
বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মো. সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
0 মন্তব্যসমূহ