গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর এলাকায় বাল্যবিয়ের চেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল চারটার দিকে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
পাশাপাশি সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এ বিয়ের আয়োজন করতে গিয়ে কাজী নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জানা যায়, মহেন্দ্রপুর এলাকায় এক কিশোরীর (১৫) সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের বিয়ে আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাবনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
অভিযানে কনের বয়স নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ছেলে পক্ষ ও মেয়ে পক্ষকে বাল্যবিবাহ আইনের কঠোর বিধান সম্পর্কে সতর্ক করা হয় এবং বাল্যবিবাহ থেকে বিরত থাকার জন্য লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহারুল ইসলাম বলেন, “বাল্যবিবাহ সামাজিক অপরাধ। এই অপরাধ দমনে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোথাও বাল্যবিবাহের চেষ্টা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যেসব কাজী বা ব্যক্তি আইন অমান্য করে বাল্যবিবাহ সম্পাদনে জড়িত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাল্যবিয়ের কারণে অনেক মেয়ের জীবন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়ের এবং ২১ বছরের নিচে কোনো ছেলের বিয়ে সম্পাদন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ