পাবনার আটঘরিয়ায় অধিকাংশ খামারী ব্যাংকলোন এবং খরচ মেটাতে না পেরে দায় দেনায় জর্জরিত হয়ে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন । পোল্ট্রি শিল্পের লেয়ার মুরগির খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বর্তমানে ডিমের দাম কমে যাওয়ায় খামারিদেরকে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ চিত্র এখন পুরো পাবনা জুড়েই।
অনেকেই খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আটঘরিয়ার ছোট বড় প্রায় ৩০০ খামার এখন ঝুঁকির মধ্যে এবং বন্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
বর্তমানে প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ২০ পয়সা অথচ ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা ১০ পয়সা। একদিকে খাদ্যের দোকানে বাকি অপরদিকে ব্যাংক লোনের জ্বালায় জর্জরিত খামারীরা।
তিন হাজার লেয়ার মুরগির খামারী আব্দুল লতিফ জানায়, প্রতিদিন তার খামারে লোকশান ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। প্রথমত একদিনের বাচ্চার অস্বাভাবিক দাম, সর্বোপরি খাদ্যের অসম্ভব মূল্য বৃদ্ধি ঘটায় মুরগি যা খায় তা ডিম থেকে খরচ মিটে না।
এর সঙ্গে আছে বিদ্যুৎ খরচ, ঔষধ খরচ এবং কর্মচারী খরচ। ১৫ শ মুরগির খামারী দুলাল জানায়, মুরগির খাদ্যের দাম না কমলে অথবা ডিমের দাম না বাড়লে খামার বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় নাই, প্রতিদিন তার ২ হাজার টাকা লোকসান যাচ্ছে। দফায় দফায় খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ডিমের মূল্য কমে যাওয়ায় এমনটা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মিয়াপাড়ার লেয়ার মুরগির খামারী আফজাল জানায়, এত লোকসান দিতে হবে জানলে মুরগির খামার করতাম না, ফলে আমরা যে বেকার সেই বেকারই থেকে যাচ্ছি, উল্টো অনেক টাকা দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়ছি।
পশু সম্পদ অফিসের এক মাঠকর্মী জানায়, আটঘরিয়াতে ছোট-বড় প্রায় ৩০০ খামার আছে, প্রায় সবাইকেই বর্তমানে লোকসান দিতে হচ্ছে। এতে শতশত মানুষ বেকার হয়ে পড়ছে।
খাদ্য উৎপাদনকারীদের সিন্ডিকেট এবং ডিম ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে এক সময় পোল্ট্রিখাত মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
0 মন্তব্যসমূহ