ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অবৈধ বালু ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিস আলীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া আক্তার রোজী। শনিবার (১৪ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের নৌবাড়ীয়া এলাকায় অবস্থিত বালু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজে এ ঘটনা ঘটে। মোঃ ইদ্রিস আলী মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী এবং অবৈধ বালু ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করে আসছিলেন।
জানা গেছে, মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী ইদ্রিস আলী দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করে আসছিলেন। তার ব্যবসায় নেই কোন সরকারি অনুমোদন কিংবা লাইসেন্স। ফলে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা করলেও সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছিলেন । এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া আক্তার রোজী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পান। এ সময় বালু ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী তার বালু ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থ দন্ডাদেশ আরোপ করেন। এ সময় ভাঙ্গুড়া থানার এসআই রেজাউল করিম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন।
ঘটনার বিষয়, সরকারি কমিশনার(ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া আক্তার রোজি বলেন, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তিনি দীর্ঘদিন অবৈধ বালু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ মোতাবেক তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করা হয়েছে।
ভাঙ্গুড়ায় রাতে জেলেদের ভাওরে আগুনের ঘটনায় আটক হয়েছেন ইউপি সদস্যসহ তিনজন
ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে ঘুমন্ত জেলেদের ভাওর পোড়ানোর মামলায় ইউপি সদস্য শেফালী খাতুনসহ তিনজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত অপর দুজন ইজাহার নামীয় অসামী হলেন, ওই ইউপি সদস্যার ছেলে জাহাঙ্গীর ও অপরজন আলেয়া খাতুন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাদেরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার দিলপাশা ইউনিয়নের দিলপাশার গ্রামের কৈরগাছা নামক স্থানে একটি জলকর নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের জেলেদের সাথে স্থানীয় বাসিন্দা ইউপি সদস্য ও দিলপাশার ইউনিয়নের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শেফালী খাতুন ও তার সমর্থকদের বিরোধ চলছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত কয়েকদিন আগে দিলপাশার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিক শেফালী খাতুন জেলেদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরপর মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতের কোন এক সময় জলাশয় পাহারা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি করা জেলেদের ভাওরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ওই ভাওরে দুই জেলে অবস্থান করছিলেন। আগুনের বিষয়টি টের পেয়ে তারা দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেও এ সময় তাদের শীতের কাপড়-চোপড় ও কিছু জাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টিও আমলে নিয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ অধিকতর তদন্ত করে মামলার রুজু করেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার এ মামলা ইজহার নামীয় শেফালী খাতুন, ও ছেলে জাহাঙ্গীর আলম এবং আলেয়া খাতুনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ঘটনার বিষয় ভাঙ্গুড়া থানা ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, জেলেদের ভাওরে আগুন দেওয়ার মামলায় দিলপাশার ইউপি সদস্য শেফালী খাতুনসহ তিনজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ