রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ডামি ফুয়েল লোডিং। |
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ডামি ফুয়েল লোডিং। অন্তত দুই সপ্তাহ চলবে এ কার্যক্রম। পরমাণু চুল্লি বা রিয়্যাক্টরের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রকৃত ফুয়েল লোড করা হবে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার সব ধাপ শেষে নির্ধারিত সময়েই ইউরেনিয়াম তোলা হবে পারমাণবিক চুল্লিতে।
টাকার অঙ্কে দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন অনেকটাই প্রস্তুত কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে এই প্ল্যান্টের দুটি ইউনিটকেই পাড়ি দিতে হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জটিল সব স্তর।
পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বর্তমান ধাপটিকে বলা হচ্ছে প্রি-কমিশনিং স্টেজ। যে পর্যায়ে প্রকল্প এলাকায় ইনস্টলেশন সম্পন্ন করা বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পরীক্ষা চালানো হয়। এরই অংশ হিসেবে রূপপুরের প্রথম ইউনিটে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের কার্যক্রম।
এই প্রক্রিয়ায় প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলে, ডামি ফুয়েল এর প্রথম অ্যাসেম্বলি প্রবেশ করানো হয়। দুই সপ্তাহ ধরে চলবে লোডিংয়ের এই কার্যক্রম। এর মধ্যে, ১৬৩টি ডামি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি এবং ১১৫টি কন্ট্রোল এবং প্রোটেকশন সিস্টেম এবসর্ভার রড লোড করা হবে। ডামি ফুয়েলের মাধ্যমে রিয়্যাক্টর বা পরমাণু চুল্লির সব প্যারামিটার যাচাই নিশ্চিত হওয়ার পর প্রকৃত ফুয়েল লোড করা হবে।
সংশ্লিষ্ট রুশ নির্মাতারা জানাচ্ছেন, আকার, আকৃতি, ওজন এবং ম্যাটেরিয়াল বিবেচনায় ডামি ফুয়েল আসল ফুয়েলের মতোই। শুধু থাকে না পারমাণবিক জ্বালানি। এই ফুয়েল লোডিংয়ের পর রিয়্যাক্টরের সার্কুলেশন ফ্ল্যাশিং, কোল্ড এবং হট টেস্ট করা হবে।
খুঁটিনাটি এমন টেস্টগুলোর সফলতার ওপরই রিয়্যাক্টরের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য অপারেশন নিশ্চিত হয় বলে জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
রূপপুরের প্রথম ইউনিটের নির্মাণ এবং এর পাওয়ার স্টার্টআপসহ অন্যান্য কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে বলে জানাচ্ছে প্রকল্পসূত্র। রাশিয়ার ঋণ এবং রোসাটমের কারিগরি সহায়তায় দুটি পরমাণু চুল্লির মাধ্যমে এখান থেকে উৎপাদন হওয়ার কথা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
0 মন্তব্যসমূহ