পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পেঁয়ারাপাড়া জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এছাড়াও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দিতে আসা পল্লী চিকিৎসককেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। এর আগে সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলার পুঙ্গলি ইউনিয়নের দত্তপুঙ্গলি গ্রামের উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- দত্তপুঙ্গলি গ্রামের মহসিন সরকারের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান ও পলাশ সরকার, ভাতিজা শান্ত সরকার এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অরুণা খাতুন। আহত পল্লী চিকিৎসক হেলাল প্রামানিক পাশের পাছপাঙ্গুলী গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তাদের ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দত্তপুঙ্গলি গ্রামের মহসিন সরকার ও প্রতিবেশী আনিছের বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার বিকেলে তুচ্ছ ঘটনায় তাদের লোকজনদের মধ্যে ঝগড়া লাগে। এসময় আনিছ ও তার লোকজন মহসিন সরকারের বাড়িতে হামলা করে। এতে বাধা দিলে মহসিন সরকারের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান ও পলাশ সরকার, ভাতিজা শান্ত সরকার এবং ছোট ভাইয়ের স্ত্রী অরুণা খাতুন পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এছাড়াও মহসিন সরকার ও তার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে আসা পল্লী চিকিৎসক হেলাল প্রামানিককেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না করায় এঘটনার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম তালুকদার সুমনকে দায়ী করেছেন একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন । তবে সাজেদুল ইসলাম তালুকদার সুমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সার্কেল স্যার, র্যাব ও থানা থেকে আমাকে ও সাবেক দুই চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল শালিশ করে সমাধান করার জন্য কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল সরকার হজ্জের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আমার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মিথ্যা।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত মো. আনিস বলেন, ‘আমরা হামলা করেনি তারাই হামলা করেছে। তাদের লোকজন মিথ্যা ব্যান্ডিস-টেন্ডিস করে এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।’
এব্যাপারে ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘চুলা ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষের লোকজনই হাসপাতালে আছে। উভয়পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।’
0 মন্তব্যসমূহ