রবিউল রনি: হাত দুটো অচল কোন কাজ করতে পারে না, তাতে কি পা দিয়ে লিখেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পেয়েছিলেন জিপিএ ৪.৩৭। আরো পড়াশোনা করে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে অভাবগ্রস্ত পরিবারের হাল ধরতে চায় সে।
জীবন ইসলাম ভাঙ্গুড়া জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০২২ সালে এইচএসসি পাস করলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে গতবছর পড়াশোনা করতে পারে নাই।
বর্তমানে সে আবার উচ্চ শিক্ষিত হবার স্বপ্ন নিয়ে পথে নেমেছে।
বলছিলাম পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কলকতি গ্রামের লিটন ইসলামের ছেলে জীবন ইসলামের কথা। অভাবগ্রস্ত পরিবারের চার ভাই তিন বোনের সবার বড় এই জীবন ইসলাম এর বাবা হকারের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
জীবন এর অন্যান্য ভাই গুলো বিয়ে করে আলাদা সংসার চালায়। দুই বোনের বিয়ে হলেও এক বোন বাবা মাসহ একটি পরিবার পরিচালনা করতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয় তাদের।
মানুষের কাছে দুই চার টাকা তুলে পথে পথে ঘুরে জীবনের জীবন মান উন্নয়নের চেষ্টায় করে যাচ্ছেন এই মানুষটি।
শারীরিক তথা হস্ত প্রতিবন্ধী এই জীবন ইসলামের প্রতি সরকারি সহায়তা সহ সামাজিক সামর্থ্যবান মানুষেরা একটু সদয় হলেই পাল্টে যেতে পারে তার এই পরনির্ভরশীল জীবনের প্রেক্ষাপট।
তাই, সবার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন জীবন ইসলাম।


0 মন্তব্যসমূহ