মোঃ নূরুল ইসলাম, চাটমোহর, পাবনা: পাবনার চাটমোহরের ডিকসি বিলের ইজারা বাতিলের দাবীতে সোমবার (৭ আগস্ট) চাটমোহর উপজেলা গেটে মানববন্ধন করেছেন মৎসজীবিরা। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগি মৎসজীবিরা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি আবেদন করেছেন এবং বিভিন্ন দফতরে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।
পবাখালী সরদার পাড়া মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও বনগ্রাম মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মোড়ল প্রাং স্বাক্ষরিত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, ডিকসির বিল দুটি অংশে বিভক্ত। পার্শ্বডাঙ্গা এলাকার শহিদুল ইসলাম এবং তার পিতা হাবিব প্রাং দুইটি মৎসজীবি সমিতির সভাপতি। হাবিব তার মৎসজীবি সমিতির অনুকূলে বিলের একটি অংশ টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা নিয়ে সেই জলকর বিধি বহির্ভুত ভাবে অন্য ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে দেন। বিধি লংঘন করায় জেলা প্রশাসক তার জামানত বাতিল করেন। শহিদুল ইসলাম বিলের আরেক অংশ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নেন।
উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের হায়াত চৌধুরী বিলের একটা অংশ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আয়ত্বে নেন। শহিদুল ইসলাম এবং হায়াৎ চৌধুরী একত্রিত হয়ে বিলের দুইটি জলকর চার লাখ পঁচিশ হাজার টাকায় বনগ্রামের আওয়াল সরদার, ফজলু প্রাং, রতন আলী ও ইসরাফিলসহ কয়েকজনের নিকট বিধি বহির্ভূত ভাবে বিক্রি করে দেন। জলকরটি আওয়াল গংদের দখলে আসলে তারা পবাখালী, কুয়াবাসি, জগন্নাথপুর, পার্শ্বডাঙ্গা, বনগ্রাম, খতবাড়িসহ বিলপাড়ের দুই-তিন’শ জেলের নিকট থেকে মাছ ধরা বাবদ ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা নেয়। টাকা না দিলে অথবা দিতে দেরি হলে আওয়াল গং জেলেদের উপর নির্যাতন চালায়, জেলেদের জাল, ধুন্দি, খাদুন, খড়াসহ মাছ ধরার অন্যান্য উপকরণ ভেঙ্গে দেয়, পুড়িয়ে দেয় বা অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়ে খাজনার টাকা আদায় করেন।
আব্দুর রাজ্জাক ও মোড়ল প্রাং জানান, যেহেতু শহিদুল ইসলাম এবং হায়াৎ চৌধুরী বিধি বহির্ভূত ভাবে জলকর অন্যদের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন সেহেতু তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে নতুন করে টেন্ডার দেয়া হোক।
এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানজিনা খাতুন জানান, ২০ একরের উর্ধের জলাশয় জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এটি জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এই ইজারা বাতিলের এখতিয়ার আমার নেই।
0 মন্তব্যসমূহ