পাবনা প্রতিনিধি : এক সহকর্মীকে মারধরের ঘটনায় পাবনা সদর হাসপাতালে ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন নার্সরা। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী তারা কর্মবিরতি পালন করেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজা হোসেন নামে ইন্টার্ন নার্সকে মারধর করেন সাদ্দাম হোসেন নামে এক দালাল। এ ঘটনায় হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল ইন্টার্ন নার্সরা ছয় দফা দাবিতে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে বুধবার কর্মবিরতিতে যান।
বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন নার্স অভিযোগ করেন, তারা রাতে ডিউটি করতে এসে দালালদের হাতে অপমানিত হন। তাদের দেখে নানা ধরনের মন্তব্য করা হয়। মুখ বুজে তারা সহ্য করেন। ওয়ার্ড বয়রা নানা ধরনের বাজে কথা বলেন। বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভাররাও ইভটিজিং করেন। অনেক রোগীকে দালালরা নিজেদের আয়ত্তে নেন। তারা এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন নার্সদের ছয় দফা দাবি হলো, হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সদের ব্যক্তি স্বাধীনতা দেওয়া, রোগী হয়রানি বন্ধ করা, নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নার্সদের কাজে কোনো হস্তক্ষেপ না করা, নার্সদের যথাযথ সম্মান নিশ্চিত করা, উদ্ভূত ঘটনার বিচার করা। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন পাবনা শাখার সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, ৮০ টাকার ইসিজি ৬০০ টাকা নেয় দালাল। এ নিয়ে দালালের সঙ্গে রোগীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ কাজের প্রতিবাদ করায় ইন্টার্ন নার্সকে এক দালাল বেধড়ক মারধর করে।
তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাদ্দাম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্দু বালা বলেন, হাসপাতালের এক ইন্টার্ন নার্সকে মারধরের কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। হাসপাতালের পরিচালককে সঙ্গে নিয়ে ভুক্তভোগী নার্সদের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীর বলেন, ঘটনা শোনার পর পরই আমি হাসপাতালের ইন্টার্ন নার্সদের সঙ্গে কথা বলেছি। হাসপাতালে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ