ভাঙ্গুড়া প্রতনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা লিয়াকত আলি লিটনের (৪৫) বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন মোছাঃ নার্গিস আক্তার (৩৮) নামে এক মহিলা। গত রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) লিটন দিলপাশার ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও দিলপাশার ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামের আফজাল মহুলীর ছেলে এবং ধর্ষণ মামলা দায়েরকারী ওই মহিলা পাশ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার পৌর সদরের আফ্রাত পাড়ার বাসিন্দা।
ঈশ্বরদী থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোঃ লিয়াকত আলী লিটন (৪৫), ওই মহিলাকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১ মাস যাবৎ ঈশ্বরদী, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানাধীন স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্ট সেন্টার, বগুড়া আবাসিক হোটেল এবং তার বিভিন্ন বান্ধবীর বাসায় নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার স্বপ্নদ্বীপ সেন্টারের একটি কক্ষে নিয়ে নার্গিস আক্তারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
এর পর থেকে নার্গিস আক্তার লিটনকে বিবাহের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে প্রথমে নানান টালবাহানা করে এবং পরবর্তীতে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে নার্গিস আক্তার উপায়ান্তর না পেয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে ভাঙ্গুড়া খানার বিএলবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজে উপস্থিত হয়। দিলপাশার ইউনিয়নের বিবি স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে লিটনের কাছে আবারো বিয়ের দাবি করেন। কিন্তু ওই সময় লিয়াকত আলী লিটন তাকে দেখে খারাপ আচরণ করে, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং তাকে স্থান ত্যাগের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। স্থানীয় লোকজন আশ্বাস দেওয়ায় নার্গিস আক্তার সেখান থেকে বাড়ি ফিরে যান।
উক্ত ঘটনার জের ধরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নার্গিস আক্তার ভাঙ্গুড়া বাজারের অবস্থানকালে দুপুরে অভিযুক্ত লিটনের বন্ধু মোঃ আঃ রহিম বাচ্চু তার মোবাইল নং থেকে নার্গিস আক্তারের মোবাইলে ফোন দিয়ে গত ২৭ তারিখের ঘটনার প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এ বিষয়ে বেশি কিছু করলে তার ক্ষতিসাধণ হবে বলে হুমকি প্রদান করে।

0 মন্তব্যসমূহ