সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

পাবনায় এবছর ৩৪৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে

চলছে শেষ সময়ের কাজ

পাবনা জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে, এখন চলছে রং-তুলির শেষ আঁচড়ে দেবী দুর্গাসহ অন্যান্য দেব-দেবীর প্রতিমা সাজানোর কাজ।

এবার পাবনাতে ৩৪৫টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গোৎসব। খড়, কাঁঠ, সুতা ও মাটির কারুকাজে প্রতিমাগুলো হয়ে উঠছে প্রাণবন্ত। পূজা যত ঘনিয়ে আসছে, শিল্পীদের ব্যস্ততাও তত বাড়ছে। তাদের হাতে দম ফেলারও ফুরসত নেই।

পঞ্জিকা অনুযায়ী, ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর অষ্টমী, ১ অক্টোবর নবমী ও ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পাবনার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা। কাদামাটি দিয়ে প্রতিমার গহনার নকশায় চলছে ফিনিশিংয়ের কাজ। এরপর শুরু হবে রঙ করার পালা। পাশাপাশি প্রতিটি মন্দিরে সাজসজ্জার কাজও চলছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষ ভদ্র বলেন, এবছর পাবনা শহরে ৫১টি মন্দিরে এবং সারা পাবনা জেলায় ৩৪৫টি মন্দিরে পূজা উদযাপন হবে। তিনি বলেন পাবনায় এখন পর্যন্ত কোনো দুর্গোৎসবে বিঘ্ন ঘটেনি। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সবাই মিলে এই উৎসব পালন করি। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার—এই সম্পর্কের কারণেই দুর্গোৎসব সবসময় শান্তিপূর্ণভাবে হয়। এ বছর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 

পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, আসন্ন দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সভা করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ