পাবনায় চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মুনজিলা খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। পেটের মধ্যে গজ ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করার কারণে মুনজিলার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার।
মুনজিলা আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত বারইপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর স্ত্রী এবং আতাইকুলা থানার শাঁখারীপাড়া গ্রামের মো: মোহামিন উদ্দিনের মেয়ে।
মুনজিলার পারবারিক সুত্র জানায়, সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য গত ২৭ জুলাই পাবনা শহরের হাসপাতাল রোডের দীপা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় মুনজিলা খাতুনকে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজিয়া স্মরনীকা তার অপারেশন করেন। অপারেশনের চিকিৎসক ডা. নাজিয়া ভুলে মুনজিলার পেটের মধ্যে গজ ও ব্যান্ডেজ রেখে সেলাই করে দেন।
২০ দিন পর ১৬ আগষ্ট পেট ফুলে অবস্থা খারাপের দিকে গেলে মুনজিলাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
ক্লিনিকের মালিক দোলোয়ার হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগী ক্লিনিক থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন। গ্রামের মানুষ হওয়ায় তারা সেনেটারী ন্যাপকিনের বদলে ন্যাকরা ব্যবহার করেছে। ফলে তা ভেতরে ঢুকে পড়ায় রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ডা. নাজিয়া স্মরনীকার সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। তাই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ