আটঘরিয়া উপজেলার বৈষম্য বিরোধী আহত ছাত্র নেতাদের মধ্যে একজন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদানকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই বিতর্কিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুল ইসলাম এবং পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আটঘরিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নকিবুল্লাহ, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল হালিম, সাবেক সমন্বয়ক মঞ্জুরুল ইসলাম বাপ্পী প্রমুখ। তবে এই অনুষ্ঠানে জামায়াত ব্যতীত অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি।
গেজেটভুক্ত জুলাই আহত যোদ্ধাদের তালিকায় রয়েছে: জান্নাতুল ফেরদৌস জুই, কেএম আতিক হাসান, শাহাদাত আলি, উম্মে জান্নাত তামান্না, অন্তর হোসাইন জীম, আজমীর হোসেন ও আল-মামুন। এদের মধ্যে পাঁচ জনকে গত বুধবার (৬ আগস্ট) সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন দেবোত্তর কলেজ ছাত্রনেতা আশিকুর রহমান রনি, যিনি নিজে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা। এ সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিনহাজুল ইসলাম ও পাবনা জেলা নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম।
এই সিদ্ধান্তের ফলে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ এবং বৈষম্য বিরোধী অন্যান্য ছাত্র নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা মহিদুল ইসলাম রাকিব জানান, “আমি আগে থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে বলে জানতাম না। পরে জানতে পারি, বৈষম্য বিরোধী আহত ছাত্র নেতা কেএম আতিক হাসানের আমন্ত্রণে তার ভাই, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান রনি সম্মাননা গ্রহণ করেন, যা মোটেই কাম্য ছিল না।”
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আহত যোদ্ধা কেএম আতিক হাসান নিজেই।
0 মন্তব্যসমূহ