রনি ইমরান, পাবনাঃ দেশের প্রাচীনতম জেলা পাবনা পৌরসভার ২৪০ কিলোমিটার পাকা সড়কের প্রায় অর্ধেকই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কারহীন এসব সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। খানাখন্দে ভরা সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। শহরের ছাতিয়ানী বাবলাতলা নয়নামতি শালগাড়িয়া যুগিপাড়া পাড়ার বেশ কিছু সড়ক বর্ষা মৌসুম জুড়েই পানির নিচে ডুবে থাকে।
৩০ জুলাই বুধবার শহর ঘুরে দেখা যায়, শহরের প্রবেশপথ মুজাহিদ ক্লাব থেকে খেয়াঘাট সড়ক, হাসপাতাল সড়ক, শালগাড়িয়া গোরস্থান সড়কসহ শহরের মহল্লাগুলো প্রায় প্রতিটি সড়কের রাস্তায় বিটুমিন আর খোয়া উঠে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। হাসপাতাল সড়কের বেহাল দশায় চলাচলরত রোগীদের ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে সদ্য অপারেশনকৃত ডেলিভারি, অর্থপেডিক রোগীদের জন্য ভোগান্তির সড়ক এটি। সড়কের বেহাল দশা পাবনা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড় বাজার এলাকাতেও। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়াতে বার্ষকালে বেশিরভাগ সময় জলজট সৃষ্টি হয় এসব সড়কে।
প্রতিদিন হাজারো মানুষের বাজার সদাই চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহরের ১ ওর্য়াড গোবিন্দার ব্যস্ত সড়কেরও বেহাল দশা। কালেক্টরেট স্কুলের সামনে থেকে ভূমি অফিস মোড় পর্যন্ত ব্যস্ত তম রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে গেছে। রাস্তার পাশে দিয়ে প্রায় ৮ ফুট গভীর ড্রেনের উপরের কয়েকটি ঢাকনা ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করে এই পথে । ঘটতে পারে ভয়াবহ দূর্ঘটনা।
গোবিন্দা এলাকার বাসিন্দা জামাল শেখ বলেন, ব্যস্ত রাস্তাটিতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । রাস্তার পাশে ড্রেনের উপরের কয়েকটি ঢাকনা ভাঙা থাকায় দ্রুত সংস্কারের দাবি তার। শহরের আটুয়া এলাকার বাসিন্দা সাইদুল হক বলেন, ছাতিয়ানী এলাকার কয়েকটি সড়কে বর্ষা মৌসুম জুড়েই পানির নিচে ডুবে থাকে। ড্রেনের বর্জ্য নোংরা পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয় তাদের। দ্রুত সময়ে রাস্তার সংস্কার চান তিনি। পাবনা জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু বলেন,দেশের প্রাচীনতম জেলা পাবনা পৌরসভার ভেতর রাস্তাঘাটের বেহাল দশা । এতে মানুষের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শহরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।
পাবনা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. ওবায়েদুল উল হক জানান, অধিকাংশ সড়কেরই টেন্ডার হয়েছে দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে। জলাবদ্ধতা বৃষ্টির সময় বেশি হয় বলে জানান তিনি। শহরে বেহাল রাস্তার পাশাপাশি জন ভোগান্তিকর কয়েকটি বিষয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীর । পৌর শহরে মধ্যে জরুরী সেবার ২ টা লাশবাহী গাড়িই নষ্ট। মোট ১২ টা ময়লার গাড়ির মধ্যে বেশ কয়েকটা অকেজো হয়ে পড়ে আছে এতে করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাহত হচ্ছে। শহরে অনেক অলিগলি রাস্তায় রোড লাইট নষ্ট থাকায় সন্ধ্যার পর সেখানে মাদক কেনাবেচা চলছে দেদারছে। এবিষয়ে, প্রকৌশলী মো. ওবায়েদুল উল হক জানায়, জরুরী সেবার ২ টা লাশবাহী গাড়ির মধ্যে একটি মেরামত করা হয়েছে। ময়লার গাড়িগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ