সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে শ্রমিক, ছিন্নমূল মানুষদের ঈদের-উপহার সামগ্রী বিতরণ


পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের কুলি শ্রমিক- অসহায় হতদরিদ্র ছিন্নমূল শতাধিক মানুষদের মাঝে ঈদের -উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন রেলওয়ে কর্মচারীরা।  

শুক্রবার (২৭ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল ঈশ্বরদী শাখার আয়োজনে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের ৪ নাম্বার প্লার্টফর্মে এই উপহার তুলে দেওয়া হয়। 

ঈদ উপহার প্যাকেট সামগ্রীর মধ্যে ছিল, আটা, তেল, দুধ সেমাই চিনি। 

ঈদের উপহার সামগ্রী তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহণ কর্মকর্তা (ডিটিও) মোছা. হাসিনা খাতুন। 


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা কেএম নুরুল আলম, বাংলাদেশ গার্ডস কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন, গার্ডস কাউন্সিল পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জোনাল কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে ট্রেন পরিচালক আবু হানিফ, বাংলাদেশ রেলওয়ের গার্ডস কাউন্সিল ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি জিয়া উদ্দিন সরদার, সহ-সভাপতি জাকারিয়া সরকার সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এএসএম ইকবাল মাহবুব, ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট (এসএস) মহিউল ইসলাম, রেলওয়ে ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক, আকরাম হোসেন, আব্দুল আলিম মিঠু প্রমুখ।


বাংলাদেশ রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল ঈশ্বরদী শাখার সাধারন সম্পাদক এএসএম ইকবাল মাহবুব জানান, আমরা ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন চাকুরী করি। স্টেশনে বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেন আসা যাওয়া করে। ভ্রমনপ্রিয় ট্রেনযাত্রীর মালপত্র উঠানামা করার জন্য স্টেশনে হতদরিদ্র শ্রমিকেরা কাজ করেন। আমাদের চোখের সামনেই প্রতিদিনই হতদরিদ্র ছিন্নমূল যে মানুষদের দেখি। তারা কিন্তুু সবসময় আমাদের আশেপাশে থাকে।

এবারে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই শ্রমিক ও ঈশ্বরদী স্টেশনে ভাসমান ছিন্নমূলদের মাঝো গার্ডস কাউন্সিল ঈশ্বরদী শাখার নেতৃবৃন্দ আমরা এই অসহায় দরিদ্র মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তাদের হাতে আমাদের সামর্থ্যমত ঈদ উপহার তুলে দিলাম। 

হতদরিদ্র ছিন্নমূল আমেনা বেগম (৬৫) খুশিতে আবেগআপ্লুত হয়ে জানান, সারাদিন ভিক্ষা করি ওভারব্রিজে বসে। এতে নিজের পেটের ভাত হয় না, ঈদের বাজার আমরা করব কি দিয়ে? চিন্তাই ছিলাম। যাক তবুও তো ঈদের দিন রান্না করে খাওয়ার মত কিছু তো পেলাম, কারো আসায় বসে থাকতে তো হবে না। আর যারা আমাদের এই উপহার দিয়ে মুখে হাসি এনে দিয়েছে, আল্লাহ যেন তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করে দেন। 

 পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহণ কর্মকর্তা (ডিটিও) মোছা. হাসিনা খাতুন জানান, রেলওয়ে কর্মচারীদের মহতী উদ্দ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। পবিত্র মাহে রমজানে অনেকে  জমকালো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। এতে প্রচুর অর্থ ব্যায় হয়। অথচো ওই অর্থ ব্যায় করে আমরা প্রতিটি মানুষ যদি একজন হতদরিদ্র মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি, এতে কিন্তুু আমার আনন্দ আর আনন্দ ভাগাভাগি হয়ে গেলো।


ডিটিও হাসিনা খাতুন আরও জানান, প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে এই মনোভাব তৈরী করতে হবে। আমি মনে করি সমাজের হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষদের পাশে সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের বিত্তবান মানুষদের এগিয়ে আসা উচিত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ