শুক্রবার ৩ জানুয়ারি সকালে শহরের লাইব্রেরী বাজার থেকে ঝোলা ভরে ফুলকপি কিনেতে দেখা যায় ক্রেতাদের। কালাম হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, দাম কম তাই পরিবার ও ছাগলের খাওয়ার জন্য ৫ টাকা দরে কয়েক কেজি ফুলকপি কিনেছি। শহরের মাসুম বাজার কাশিপুর বাজার লাইব্রেরী বাজারসহ সব বাজারগুলোতে ফুলকপির ডালি সাজিয়ে দোকানিদের দেদারছে বিক্রি করতে দেখা যায়।
ক্রেতাদের স্বস্তি ফিরলেও আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা। তাদের উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা ফুলকপি বাজারে নিয়ে যেতে পরিবহন খরচও উঠছে না। অনেক কৃষক ফুলকপি ক্ষেতে ফেলে রেখে নষ্ট করছে। আবার কেউ ঘরের আঙিনায় ফুলকপি স্তুপ করে রেখে গরু ছাগল দিয়ে খাওয়াচ্ছে।
পাবনা সদর উপজেলার ভবানীপুরের কৃষক বিপুল হোসেন বলেন, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছেন। বিঘা প্রতি আবাদে তার খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ দের লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গেলেও মাত্র ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন আগে ৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রয় করলেও এখন ২ টাকা কেজিতে কেউ কিনছে না। ফুলকপি মণপ্রতি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অথচ গাড়ী ভাড়া মনপ্রতি ৯০ টাকার উপরে খরচ হয়। ফুলকপির আবাদ করে এবার পথে বসার উপক্রম হয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রাম থেকে ভ্যানে করে ডালি সাজিয়ে শহরের অলিগলিতে ফুলকপি বিক্রি করেন মো: রফিক । তিনি বলেন গ্রামে ফুলকপির ক্রেতা না থাকায় শহরে এনেছি কিন্ত কেজি প্রতি ৫ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারিনি। এখন যা দাম পাই দিয়ে চলে যাবো। এসময় শহরের গোবিন্দা এলাকায় ৫ টাকা কেজিতে কয়েকজনকে ঝোলা ভরে ফুলকপি কিনতে দেখা যায়।
এবার পেঁয়াজের ভান্ডারখ্যাত পাবনায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ করে লোকসান গুনছে জেলার পেঁয়াজ চাষিরা। উৎপাদন খরচের চেয়ে পেঁয়াজের বাজার মূল্য কম হওয়াতে হতাশ তারা। এছাড়া বাধাকপি, বেগুন, টমেটো, গাজর, শিমসহ শীতকালীন বিভিন্ন সবজিতে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন বলেন, এই মৌসুমে মোট ১৬ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে । এর মধ্যে ১৩ শত ৯২ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ