পাবনার সাঁথিয়ায় প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই বোয়াইলমারী-আমোষ সড়কের কয়েকটি স্থানে এজিংসহ প্যালাসাইডিং অংশ ধসে গেছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, দুর্বল প্যালাসাইডিং ও মাটির ব্যবহার ঠিকমতো না হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। তবে ভাঙা অংশ দ্রুত ঠিক করার আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ‘আইইউজিআইপি’ প্রকল্পের আওতায় পৌর এলাকার বোয়াইলমারী থেকে আমোষ গ্রামের তিন মাথা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩.৭ মিটার প্রশস্তকরণ এবং সংস্কারে বরাদ্দ রয়েছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। কাজের দায়িত্ব পায় ডিসিএল অ্যান্ড ওসিএল জয়েন্ট ভেঞ্চার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
গত বছরের নভেম্বর মাসে কাজটি শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা রয়েছে আগামী নভেম্বর মাসে। গত জুন মাসে তড়িঘড়ি করে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে সড়কবাতি, রোড সাইন, ট্রাফিক সাইনসহ অন্যান্য কাজ বাকি রেখে উদ্বোধন করা হয়। সম্প্রতি বৃষ্টিতে এর কয়েকটি জায়গা ধসে গেছে। ফলে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন আলমের ভাষ্য, রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই এভাবে ধসে যাবে, সড়ক ভেঙে যাবে, এটা কেমন কথা? এ কাজে ত্রুটি আছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মনসুর আলম বলেন, ‘আগে আমরা অনেক কষ্ট করে যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালিয়েছি। আশা ছিল, সড়কের কাজ শেষ হলে কষ্ট লাঘব হবে। স্বস্তির বদলে এখনও ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।’
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের তিনটি স্থানে ধসে গেছে। কিছু জায়গায় ফাটল ধরেছে। এসব অংশও যে কোনো সময় ধসে যেতে পারে। এ বিষয়ে আইইউজিপি প্রকল্পের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি জানার পরে তারা তদন্ত করেছেন। মাটি এবং প্যালাসাইডিং দুর্বল হওয়ায় বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটি ধসে গেছে। এখনও কাজ শেষ হয়নি। চূড়ান্ত বিলও পায়নি ঠিকাদার।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল হক বলেন, এখানে পুরোনো প্যালাসাইডিং থাকায় নতুন কাজে প্যালাসাইডিং ধরা হয়নি। পাশে পুকুর থাকায় পুরোনো প্যালাসাইডিং পড়ে গেছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে, তিনি ঠিক করে দেবেন।
0 মন্তব্যসমূহ