বেহাল সড়কে উল্টে পড়া গাড়ি তোলা হচ্ছে। চাটমোহর-মান্নাননগর সড়কে চরসেনগ্রাম
সড়কজুড়ে গর্ত আর গর্ত। বড় গাড়ি দূরের কথা, ছোটগুলোও চলতে কষ্ট হয়। ভাঙা অংশ পার হওয়ার সময় কাদাপানিতে নেমে চালকসহ সহকারীদের ওই গাড়ি ঠেলে পার করতে হয়। এ চিত্র পাবনার চাটমোহর উপজেলার বেশির ভাগ সড়কের। তবে বেশি বেহাল পৌরসভার প্রধান সড়কটির।
চাটমোহর উপজেলার ছোট-বড় বেশ কয়েকটি সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভার দুই কিলোমিটার সড়কসহ প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে গেছে।
খানাখন্দে ভরা এ সড়কগুলোতে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। থাকে কয়েক দিন পর্যন্ত। গর্তে আটকে পড়ে রিকশা, লেগুনা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানের চাকা। অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যায় যানবাহন। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার প্রধান সড়কটিও সংস্কার করা হয় না দীর্ঘদিন। এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
চাটমোহর পৌরসদরের প্রধান সড়ক, চাটমোহর জার্দিস মোড় থেকে হান্ডিয়াল হয়ে মান্নাননগর, চাটমোহর থেকে কাটাখালী হয়ে খৈরাশ সড়ক, চাটমোহর-ধুলাউড়ি সড়কসহ বেশ কিছু সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ।
জার্দিস মোড় থেকে হান্ডিয়াল হয়ে মান্নাননগর সড়ক ভেঙেচুরে একাকার। কয়েক বছর আগে ওই সড়কের পিচ-পাথর তুলে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়। ইট বিছানো সড়কটিও ভেঙে গেলে সম্প্রতি নতুন করে নির্মাণ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার চাটমোহর থেকে চিনাভাতকুর পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকার ইট এক সঙ্গে তুলে ফেলে। এর পর থেকে সড়কটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তিন দিনের বৃষ্টিতে এ রাস্তায় চলাচলকারীদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
বেহাল চাটমোহর-কাটাখালী সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। চাটমোহর-ধুলাউড়ি সড়কের অধিকাংশ জায়গায় পিচ উঠে গেছে। পৌর সদরের প্রধান সড়কে যেন হাজার হাজার খাল। চাটমোহর থানা মোড় থেকে জার্দিস মোড় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সড়কে চলাচল খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত হাজার হাজার মানুষ ও গাড়ি চলাচল করে এ সড়কে। সড়কটি এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। বিকল্প পথ না থাকায় সীমাহীন কষ্টে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ।
চাটমোহর পৌর সদরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার শিক্ষার্থী ফয়সাল মাহমুদ জানান, পৌর সদরের প্রধান সড়কটি অনেক দিন যাবত ভেঙেচুরে একাকার। সংস্কার না করায় হাজার হাজার মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। দূর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। উপজেলা গেট এলাকা ও বালুচর মাঠের পশ্চিমে একেবারেই ভেঙে গেছে। অতি দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান।
বড়বেলাই গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, চাটমোহর-হান্ডিয়াল সড়কটির অবস্থা ভয়াবহ। একই অবস্থা চাটমোহরের তেনাচিরা থেকে মথুরাপুর ও কাটাখালী হয়ে খৈরাশ অভিমুখী সড়কটি।
পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, পৌর সদরের রাস্তাটির নির্মাণ কাজের দরপত্র হয়ে গেছে। ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।
বেহাল সড়কের বিষয়ে কথা বলতে নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) আবুল মনসুর
আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হয়। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া না দেওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
0 মন্তব্যসমূহ