পাবনার ঈশ্বরদীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলা মামলায় যাবজ্জীবন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীদের মধ্যে ৩০ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিজয়-৭১ এর ১১ আদালতের দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি এএসএম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব।
রায়ে বন্দি জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- আমিনুল ইসলাম আমিন, আজাদ হোসেন খোকন, ইসমাইল হোসেন, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শামসুর রহমান শিমুয়া, আনিছুর রহমান ওরফে সেকম, নুরুল ইসলাম আক্কেল, মো. রবি, এনাম, আবুল কাশেম, কালা বাবু, মামুন, মমিন ওরফে মামুন, সেলিম আহমেদ, কল্লোল, তুহিন, শাহ আলম লিটন, আবদুল্লাহ আল মামুন, তাহাজুল ইসলাম লাইজু, আবদুল জব্বার, পলাশ, আবদুল হাকিম টেনু, আলমগীর, আবুল কালাম আজাদ ও এ কে এম ফিরোজুল ইসলাম পায়েল।
এছাড়া আরও ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ জনের জামিন মিলেছে। তারা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান (ভিপি রাজু), আজমল হোসেন ডাবলু, আনোয়ার হোসেন জনি, রনো, বরকত আলী, চাঁদ আলী, এনামুল কবীর, মোক্তার, হাফিজুর রহমান মুকুল, হুমায়ুন কবীর দুলাল, জামনুল, তুহিন বিন সিদ্দীক ও ফজলুর রহমান প্রামাণিক।
বিচার চলাকালীন পাঁচ আসামি মারা গেছেন। তারা হলেন- এহতেশাম, আলমগীর হোসেন, ওসিয়া, জাবেদ করিম খোকন ও আলমগীর হোসেন। রায়ের পর কারাগারে মারা গেছেন কমিশনার আব্দুল হাকিম টেনু ও পাকশীর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে এই মামলা থেকে বর্তমানে জামিনে মুক্ত ছিলেন হুমায়ুন কবির দুলাল সরদার ও মুক্তার হোসেন। এছাড়া অসুস্থ থাকার কারণে জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তাহাজুল ইসলাম লাইজু।
সংবাদপত্রের পাতা থেকে জানা যায়, শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর উত্তরাঞ্চলে দলীয় কর্মসূচিতে ট্রেনবহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
0 মন্তব্যসমূহ