সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

বিটিভিতে হামলা: শিমুল বিশ্বাসসহ সাতজন রিমান্ডে


 বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান ওরফে শিমুল বিশ্বাস এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরবসহ সাতজনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


সোমবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলমের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।


রিমান্ড যাওয়া অন্যরা হলেন- বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মজনু, রশীদুজ্জামান মিল্লাত, সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহিউদ্দিন হৃদয় ও তরিকুল ইসলাম।


মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।


আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী মহসিন মিয়া, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, হান্নান ভুঁইয়াসহ আরও অনেকেই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।


এদিকে সেতু ভবনে হামলার ঘটনার মামলায় গত ২৫ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরবসহ সাত জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে রামপুরা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন পুলিশ। শুরুতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ড বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।


মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ডিআইটি রোডগামী রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।


এরপর বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ‘শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে ও সক্রিয় অংশগ্রহণে’ অজ্ঞাতনামা তিন-চার হাজার কর্মী দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। আসামিরা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিটিভি ভবনের প্রধান চারটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ভবনের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়। টেলিভিশন ভবনে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম ও পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।


আরও বলা হয়, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ টেলিভিশনের ভেতরে থাকা সরকারি মালামাল ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করে। যার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা। একপর্যায়ে পুলিশ ও বিজিবি রাত ৯টার দিকে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেদিনের হামলায় বিটিভির পোর্টেবল ডিএসএনজি সিস্টেমের সব সম্প্রচার যন্ত্রপাতি, এসব যন্ত্রপাতি পরিবহন কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস এবং কেন্দ্রীয় শীতাতপ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়। ১৭টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।


বিটিভির মূল ভবনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ঢাকা কেন্দ্রের রিসিপশনে অগ্নিসংযোগ, ট্রান্সপোর্ট ভবনে অগ্নিসংযোগ, ক্যান্টিনে, অডিটোরিয়ামে অগ্নিসংযোগ, মেকআপ শাখা ভাঙচুর, ডিজাইন শাখার মেকআপ (ওয়ার্কশপ, স্টোর, ওয়ারড্রব ও গ্রাফিক্স রুম) রুমে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।- সূত্র: অনলাইন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ