ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দরিদ্র কৃষকের রোপনকৃত ধানের ২০ শতাংশ জমিতে প্রভাবশালী আব্দুর রহিম নামের পাম্প মালিক সেচ না দেওয়ায় জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ধানের জমির ওই অবস্থা দেখে দরিদ্র কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে এ বছর ওই জমির ধানের আশা ছেড়ে দিয়ে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বুধবার তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি উপজেলা অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের লামকান মৌজার লামকান মাঠে ঘটছে।
জানা গেছে, অষ্টমনিষা ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত আজাহার আলীর পুত্র দরিদ্র কৃষক রফিক আলী প্রায় মাস খানেক পূর্বে ওই মাঠে ২০ শতক জমিতে বি আর -২৯ ধান রোপন করেন। শুরু থেকেই সেচ পাম্প মালিক একই গ্রামের প্রভাবশালী আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহিম পানি দিয়ে আসছিলেন।
এর মধ্যে জমির ধান বেশ বড় হয়ে উঠেছে কিন্তু কিছুদিন পূর্বে কৃষক রফিক আলীর মামার সাথে আব্দুর রহিমের পরিবারের লোকজনের কথাকাটা কাটি হয়। তার পর থেকে আলহাজ্ব আব্দুর রহিম কৃষক রফিকের জমিতে পানি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং প্রায় ১০ দিন ধরে রোপনকৃত ধানের জমিতে পানি দেওয়া বন্ধ করে দেন।
এদিকে রোপনকৃত জমিতে পানি না পেয়ে ধান গাছগুলি ক্রমেই দুর্বল হয়ে নষ্ট হতে বসেছে। নিরুপায় হয়ে কৃষক রফিক আলী স্থানীয় গ্রাম্য প্রধানকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন। তারাও গ্রাম্য পরিবেশে বসে জমিতে পানি দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা অগ্রাহ্য করেন সংশ্লিষ্ঠ সেচ পাম্প মালিক। পরে বাধ্য হয়ে কৃষক রফিক আলী গত বুধবার বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ইউএনও বরাবরে আবেদন দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহিমের ছেলে মানিক হোসেন ওই রোপনকৃত ধানের জমিতে সেচ দেওয়া বন্ধ করেছেন মর্মে স্বীকার করে বলেন, রফিকের মামার সাথে তাদের দ্বন্দ্বের কারণে এমনটি হয়েছে।
এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ঠ ইউপি সদস্য বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। ওই বিষয়টি গ্রাম্যভাবে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে বিএসকে পাঠিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে, উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে কথা বলে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি নিয়ে দ্রুত সমাধান করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ