সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

ভাঙ্গুড়ায় দুধ নিয়ে বিপাকে দুগ্ধ খামারীরা


ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি : সারাদেশে করোনাভাইরাস (কেভিড-১৯) প্রর্দূভাবের কারণে গত ২৬ শে মার্চ থেকে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দুরপাল্লার গণপরিবহন  বন্ধ ঘোষণা করা হলেও জরুরী পণ্য, ঔষধ ও শিশু খাদ্যেসহ বেশ কিছু পরিবহন  চালু রয়েছে।



তথাপিও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কমেছে দুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে গোখাদ্যের দাম। যার ফলে বিপাকে পড়েছে দুগ্ধ খামারীরা এবং লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের মোটা অঙ্কের টাকা। এই অবস্থা থেকে তারা মুক্তি চায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভৌগেলিককারণে পাবনা জেলার এ উপজেলার অনেক পরিবার গবাদি পশুর খামার করে তা পালন করে থাকেন। আবার শত শত পরিবার স্বল্প পরিমানে জমি চাষাবাদের সাথে সাথে  বাড়িতে গরু পালন করে থাকে। তারা গরু পালন করে এবং দুধ বিক্রি করে তাদের সংসার চালায়।

আবার এ দুগ্ধখামারকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় অর্ধশতাধিক দুধের শিতলীকরণ কেন্দ্র (চিলিং সেন্টার)। সব মিলে এই অঞ্চলে অনেক পরিবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দুগ্ধ খামারের সাথে জড়িত এবং গাভীর দুধ বিক্রি করে তাদের সংসার চালান।

কিন্তু করোনাভাইরাস প্রদূর্ভাবের কারণে খামারীরা তাদের খামারের দুধ নিয়ে পড়েছে বিপাকে। দুগ্ধ শিতলীকরণ কেন্দ্রগুলি আগের তুলনায় প্রতিদিনি এক থেকে দেড়হাজার লিটার দুধ কম সংগ্রহ করছে।

যে কারণে ঐ অতিরিক্ত দুধ খামালীদেরকে বাজারে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাতে করে খামারীদের লোকসান গুণতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।

কিন্তু করোনাভাইরাসের অজুহাত দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গোখাদ্যের বস্তা প্রতি দুইশ থেকে তিনশ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে। 

আবার অফিস আদালতসহ সরকারি বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান ছুটির কারণে দুগ্ধশিতলীকরণ সেন্টার মিল্কভিটা, আকিজ, প্রাণ ও ব্র্যাকসহ অনেক সেন্টার তারা কৌশলে তাদের টার্গেটের বেশি দুধ গ্রহণ করছে না।

এমন অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন  এ অঞ্চলের সাধারণ খামারীরা। এই অবস্থা থেকে পরিত্রান চান তারা।
 
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে  ভাঙ্গুড়ার এক দুগ্ধ শীতলীকরণ সেন্টারের কর্মচারী বলেন, করোনাভাইরাস প্রদূর্ভাবের কারণে তাদের টার্গেট আগের তুলায় দেড় থেকে দুইহাজার লিটার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলে আবার পূর্বের টার্গেটে যাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।