রনি ইমরানঃ করোনা ভাইরাস দেশে সামাজিক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। পাবনাতেও সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯৭ জনের নমুনা পরিক্ষায় দু'জনের শরীরে পাওয়া গেছে কোভিড-১৯।
যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা দুইজনই নারায়ণগঞ্জ ফেরত বলে জানা গেছে। ফলে নারায়ণগঞ্জ ফেরতদের নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে পাবনায়।
গত সপ্তাহ থেকে শুরু করে আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত পাবনায় দফায় দফায় মানুষ ঢুকেছে দেশের করোনাভাইরাসের সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ এলাকা বলে পরিচিত নারায়ণগঞ্জ থেকে।
স্থলপথে, নদী পথে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢুকে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে তারা।
এটাই এখন সবচেয়ে বড় ভয় বলে জানিয়েছেন পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার কে এম আবু জাফর।
পাবনা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে আসছিলেন ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ফেরতদের। তারপরই নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনায় আসা দুজনের শরীরে কোভিড ১৯ পাওয়া যায়।
করোনাভাইরাস বহন করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ফেরত সবাইকে নিজ নিজ ঘরে সর্তকতার সাথে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা যায় এবং শহর বাজারে গ্রাম গ্রামে সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে নিশ্চিত করা যায় তবে এখনো মহা বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পারে পাবনা। বলছিলেন, ডাক্তার কে এম আবু জাফর।
নভেল করোনাভাইরাস দেশে শনাক্ত হওয়ার পর পাবনায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে এবং বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। এখন সবচেয়ে বড় ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা।
পাবনায় করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার এই পরিস্থিতি থেকেই যদি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যায় এবং নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা ফেরতদের সঠিকভাবে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা যায় তবে করোনার মহাবিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পারে পাবনার মানুষ।
