পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় ঈশ্বরদীর ট্রেন পরিচালক (গার্ড গ্রেড-১) আফজাল হোসেনকে চাকুরী থেকে অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে ট্রেন পরিচালক হিসেবে ঈশ্বরদী স্টেশনে এসে বেলা সাড়ে ১১ টায় পৌঁছার পর তার কর্মরত দায়িত্ব সমাপ্তি ঘটে।
তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের গার্ড কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৭ সালের ১৮ জানুয়ারী তার চাকুরী জীবনের যাত্রা শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৮ বছর ৯ মাস ১৪ দিন সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনায় বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের তিন নাম্বার প্লাটফর্মে ঈশ্বরদী গার্ড কাউন্সিল ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি জিয়া উদ্দিন জিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহবুবের সঞ্চলনে বক্তব্য রাখেন, রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত ট্রেন পরিচালক আবু হানিফ, মতিয়ার রহমান, ঈশ্বরদী গার্ড কাউন্সিলের কার্যকরী সভাপতি জাকারিয়া সরকার সোহাগ, অবসরপ্রাপ্ত লোকো মাষ্টার জাহিদুল ইসলাম সনু, শ্রমিকদল ঈশ্বরদী শাখার সম্পাদক ছবি মন্ডল প্রমুখ।
তার আগে ট্রেন থেকে নামার পর ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন সুপারিন্টেনডেন্টসহ স্টেশন দায়িত্বরত স্টেশন মাষ্টার, গার্ড কাউন্সিল নেতৃবৃন্দ, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় নিজ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও পরিবারের স্বজনরা।
তার আগে রাজবাড়ি, পার্বতীপুর, খুলনা,রাজশাহী সহ বিভিন্নস্থানে সংবর্ধনা প্রদান করে রেলওয়ের কর্মচারীবৃন্দ।
জানা যায়, আফজাল হোসেনের চাকুরীতে প্রথম পদায়ন ছিল চট্টগ্রাম বিভাগে। হালিশহর একাডেমি হতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৮৭ সালের ২৫ মে চট্টগ্রাম পোর্ট ইয়ার্ডে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে বদলি হয়ে পাকশী বিভাগের খুলনা গার্ড হেডকোয়ার্টারে যোগদান করেন। পরে ১৯৯১ সনে বদলী হয়ে ঈশ্বরদী গার্ড হেডকোয়ার্টারে যোগদান করে দায়িত্ব পালন করেন।
শুধুই রেলওয়েতে চাকুরী না। চাকুরীর পাশাপাশি সহকর্মীদের পাশে থেকে দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে সাংগঠনিক ক্ষেত্রেও কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। রেলওয়ে গার্ডস কাউন্সিল নামক অরাজনৈতিক পেশাজীবী সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে খুলনা শাখার যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯২ সালে ঈশ্বরদী শাখার সম্পাদক, ১৯৯৭ সালে পাকশী-লালমনিরহাট অঞ্চলের জোনাল সম্পাদক, ২০০৪ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ড গড়েন। এরপর ধারাবাহিকভাবে ২০১৫ ও ২০২৩ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

0 মন্তব্যসমূহ