মাসুম ও আবির দুইজন খেলনা নিয়ে খেলা করতে করতে সকলের চোখের আড়ালে নদীর ধারে চলে যায়। আবিরকে খুজতে খুজতে দেখে নদীর ধারে ছেলেদের খেলনা এবং সেন্ডেল পরে থাকতে দেখেন আবিরের মা। এক পর্যায়ে তিনি নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে নদীতে এলাকার অনেকেই নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
পরে মোশাররফ নামে একজন মাসুম ও আবিরকে নদী থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার জানায়, তারা ঠিকমত সাঁতার না জানায় নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে। এভাবে দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
গত ২৭ জুন পাবনার ফরিদপুরে বড়াল নদীতে গোসল করতে নেমে তিন্নি খাতুন (১১) ও চাচাতো ভাই জোবায়ের আহমেদ (৭) পানিতে ডুবে মারা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ