ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ভবনের বীমের এবং ছাদের প্যালেস্তারা খুলে পড়ে বের হয়ে আছে রড। প্রায় অর্ধশত বছরের পুরাতন ভবনের জীর্ণ ভগ্ন দশা দেখা দিয়েছে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে । স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থার মধ্যেই রয়েছে জমির গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও বালাম। ফলে গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ ও নথিপত্র নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাণ ভয়ের আশঙ্কা নিয়েও উপায়ান্ত না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই ভবনেই কাজ করতে হচ্ছে সাব রেজিস্টারসহ কর্মচারীদের। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি থেকে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম ও নথিপত্র যত দ্রুত সম্ভব অন্যত্রে সরিয়ে নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাঙ্গুড়াকে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠার কিছু দিন পর থেকেই উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমের পর থেকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও সরকারি বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক ভবনের পূর্ব দিকে একটি ভবনে সাব রেজিস্টার অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে প্রায় অর্ধশত বছর কেটে গেছে। ভবনের বিম ও ছাদের প্যালেস্তার খসে পড়ে বেরিয়েছে রড। যা দেখলে যে কেউ এই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হবে। এই ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্য কোন উপায় না পেয়ে নিয়মিত এখানে অফিস করে যাচ্ছেন।
উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সঙ্গে নির্মাণ হওয়ার ফলে ভবনটি বেশ পুরাতন। একই সঙ্গে নির্মিত হওয়া প্রশাসনিক ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে পাশেই একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে উপজেলা পরিষদের বেশিরভাগ অফিস পুরাতন ভবন থেকে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। কিন্তু সাব রেজিস্টার অফিস ওই পুরাতন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই উপজেলার দলিল দস্তাবেজ সহ উপজেলার ভূমিসংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে । পুরাতন, সাতসাঁতে জরাজীর্ণ ভবন হওয়ার কারণে দলিলসহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র গুলির টেম্পার কমে গিয়ে নষ্ট হবার পথে বসেছে।
দলিল লেখক আক্তার হোসেন বলেন, পুরাতন জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ভূমির রেজিস্ট্রেশন জন্য ভিতরে প্রবেশ করতেই ভয় লাগে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়ার সাব রেজিস্টার রিজভী ইবনে মাহমুদ বলেন, ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কয়েক বছর আগেই ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু উপায়ান্তর না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে এখানে অফিস করতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি ঝুঁকিতে রয়েছে।
ঘটনার বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: নাজমুন নাহার বলেন, সাব রেজিস্টার অফিসটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হলে তাদের নিতে হবে। তবে এ বিষয়ে সাব রেজিস্টার উদ্যোগ নিলে তাকে সহযোগিতা করবেন বলেও তিনি জানান।

0 মন্তব্যসমূহ