সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

পাবনায় জালসার ঘটনায় সংঘ*র্ষে আহত- ২



আটঘরিয়া প্রতিনিধি: পাবনার আটঘরিয়ায় জালালের ঢাল জামে মসজিদের ইসলামী জালসায় মেয়েদেরকে কটুক্তি করায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুই জন গরুতর আহত হয়েছে। 

আহতদের মধ্যে লক্ষ্মণ কর্মকার (৩৫) নামক এক ব্যক্তিকে মুমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তার অবস্থা অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা সদর  হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অপরজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

আজ ৪ জানুয়ারি সকাল সাতটার দিকে আটঘরিয়া বাজার ও জালালের ঢালে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো- উত্তরচক জালালের ঢাল গ্রামের মিন্টু কর্মকারের ছেলে লক্ষ্মণ কর্মকার ও একই এলাকার মুকুল খার ছেলে আকুব্বার খা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় গত ৩ জানুয়ারি উপজেলার জালালের ঢাল জামে মসজিদের বাৎসরিক ইসলামী জালসা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সন্ধ্যার দিকে জালসায় আসা কয়েকজন মেয়েকে দেখে যুবদল নেতা ইমরাম, শান্ত গং কটুক্তি করে। 

বিষয়টি জালসা কমিটির লোকজন জানতে পারলে তাদেরকে নিষেধ করে। এসময় লক্ষ্মণ নামক এই ছেলেটি উপস্থিত ছিল। পরে তারা উল্টো জালসা কমিটির লোকজনকে মারপিট ও তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

আজ ৪ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাতটার দিকে লক্ষ্মণ কর্মকার আটঘরিয়া বাজারের তার দোকান খুলতে যায়। এসময় বিএনপির নেতা অলি, ইমরান, শান্ত সহ ১০-১৫ জন জিআই পাইপ, চাপাতি, টাঙ্গীসহ দেশি অস্ত্র সশস্ত্র সজ্জিত হয়ে লক্ষ্মণকে কুপিয়ে বেধরক মারপিট করে দুই পা ভেঙে দেয়। 

পরে লক্ষ্মণের আত্নচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত সটকে পরে। পরে লক্ষ্মণকে দ্রুত আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা অবন্নতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। 

আটঘরিয়া পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকুব্বর খাঁসহ কয়েকজন দ্রুত আহত লক্ষ্মণকে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিতে গেলে তাৎক্ষণিক অলি, ইকরাম, শান্ত সহ ১০-১৫ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে আকুব্বর খাঁকে ব্যাপক মারপিট করে ফোলা জখম করে পালিয়ে যায়। 

৫ নং পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আকুব্বর জানান, আওয়ামী লীগের সময় অলি গং ব্যাপক চাঁদাবাজি, মাস্তানি, ছিনতাই, রাহাজানি করেছে। আর এখন বিএনপির ছত্রছায়ায় নেতাকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে এসব করছে। তবে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই নেতাকর্মীদের কাছে। 

৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, অলি বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে যে অপকর্ম গুলো করছে এটা ঠিক না। লক্ষ্মণ ও আকুবারকে যে ভাবে মারাধর করা হয়েছে এটা জঘন্যতম কাজ। দলের জন্য এটা লজ্জাজনক ব্যাপার। আমি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হয়ে  উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে সুবিচার দাবি করছি। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ