ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাউত উৎসবের নামের প্রায় সাড়ে তিন একর পুকুরের মাছ শিকার করে নিয়ে গেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে মৎস শিকারীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পৌর সদরের সরদারপাড়া গ্রামের সরকারপাড়া মৎস সমবায় সমিতির নামে চাষ করা একটি পুকুরে এ ঘটে। এতে মৎস শিকারীরা প্রায় পাঁচ লাক্ষাধিক টাকার মাছ শিকার করে নিয়ে গেছে এমন দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট মৎস সমবায় সমিতির সদস্যরা।
পুকুর পাড়ের বাসিন্দা ও মৎস সমবায় সমিতির লোকজন টের পেয়ে মালিকানাধিন চাষ করা পুকুরে মাছ না ধরতে প্রধমে অনুরোধ করলেও উৎসুক মাছ শিকারীরা তা গ্রাহ্য করেন নি। পরে সমিতির সদস্য ও পুকুর পাড়ের বাসিন্দা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মৎস শিকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মাছ শিকার করে নিয়ে যায় তারা।
সূত্রে জানা গেছে, বর্ষার পানি চলে গেলে উন্মুক্ত নিচু জলা ভুমিতে কিছু পানি থাকে। ওই সকল এলাকায় সৌখিন মৎস্য শিকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যম্যে যোগাযোগ করে বিভিন্ন এলাকা থেকে একতাবদ্ধ হয়ে পলো, জালসহ নানান ধরণের মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে মাছ ধরতে নেমে পড়ে।
পূর্ব নির্ধারিত ভাবে ভাঙ্গুড়া উপজেলার মহিলা ডিগ্রী কলেজের পাশে লোরার বিলে মঙ্গলবার সৌখিন মৎস শিকারীদের মাছ ধরার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মৎস শিকারীরা মহিলা ডিগ্রী কলেজের পাশে সরদার পাড়া ওয়াবদা বাঁধ (পানি উন্নয়ন বোর্ডের) রাস্তার উপর ভিড় করতে থাকে। নির্ধারিত মাছ ধরার স্থান লোরার বিলের পানিতে বেশির ভাগ স্থানে কচুরী পানা থাকার কারণে তার মাছ ধরার জন্য পানিতে নামতে পারেনি।
কিন্তু পাশেই সরকার পাড়া সমবায় মৎস সমিতির সাড়ে তিন একর পুকুরে সংঘবদ্ধ হয়ে পলো, জাল নিয়ে নেমে পড়েন মৎস শিকারীরা। এ খবর পেয়ে মৎস সমবায় সমিতির লোকজন একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করে পুকুরে আসতে আসতেই প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ শিকার করে নেন মাছ শিকারীরা। পরে পুকুর পাড়ের বাসিন্দা ও সমবায় সমিতির লোকজন প্রথমে অনুরোধ করে না শুনলে পরে ধাওয়া দিলে মৎস শিকারীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা মেজবাহুল বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট থেকে স্থানীয় সরকার পাড়া মৎস সমবায় সমিতির সদস্যরা লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। প্রায় সাড়ে তিন একর জলাশয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে চাষ করা মাছ বাউৎ উৎসবের নামে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে চলে গেছে। এ তে মৎসজীবি সমবায় সমিতির লোকজন চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার বলেন, সরদার পড়ার স্থানীয় লোকজনের পুকুরে জোর করে মাছ ধরতে আসার ষিয়টি তিনি শুনেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাথমিক ভাবে তাদের অনুরোধ করে সরিয়ে দিয়েছেন। এর পরেও যদি পুরনায় তারা অন্যের পুকুরে মাছ ধরতে আসে তাহলে প্রশাসনিকভাবে অন্যায়মুলক কাজকে প্রতিহত করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ