নাব্য সংকট নিরসনে আরিচা-কাজিরহাট নৌ-রুটে ফেরি চলাচল পুনরায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত এগারোটা থেকে রবিবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত উভয় ঘাটে কয়েকশ ট্রাকসহ তিন শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন নদী পাড় হওয়ার অপেক্ষায় আটকা পড়ে আছে। ইতোমধ্যেই ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণা পেয়ে অনেক যানবাহন বিকল্প পথে রওয়ানা দিয়েছে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, আরিচা-কাজিরহাট রুটের ড্রেজিং ইউনিট বেশ কিছু স্থানে জরুরী ভিত্তিতে পলি অপসারণের কাজ চলমান থাকায় কমপক্ষে তিনদিন এ রুটে ফেরি চলাচলা বন্ধ থাকবে।
সূত্র আরো জানায়, আরিচা পয়েন্টে যমুনার পানি দ্রুত কমতে থাকায় আরিচা-কাজিরহাট রুটে নাব্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফেরি লোড অবস্থায় চলাচল করতে অনন্ত ১০ ফুট গভীর পানির প্রয়োজন। কিন্তু প্রায় একমাস যাবৎ এ রুটের বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় গভীরতা নেই।
ঘাটে অপেক্ষমান পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘ সময় ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত সমস্যা সমাধান করে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করার জোর দাবি তাদের।
ট্রাক চালক সাগর জানান, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তিনি ফেরি ঘাটে পৌঁছেন। কিন্তু এসে জানতে পারেন আগামী তিনদিনের জন্য ফেরি চলাচর বন্ধ থাকবে। ইতোমধ্যেই অনেক গাড়ি বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে তাদের গন্তব্যস্থলে চলে গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা শাখার ম্যানেজার আবু আবদুল্লাহ জানান, নাব্য সংকট দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চ্যানেলগুলো ফেরি চলাচলের উপযোগী করতে শুক্রবার রাত এগারোটা থেকে তিনদিনের জন্য এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চ্যানেলগুলো পরিস্কার হলেই ফেরি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। তবে, সময়ের বিষয়টি নিদিষ্ট করে বলা কঠিন। ইতোমধ্যেই বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত ইঞ্জিনিয়ারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সমস্যা সমাধানে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ