পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সারুটিয়া মহল্লায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থাই না থাকায় দিনের পর দিন জমে থাকা পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেইসাথে সামান্য বৃষ্টিতেই বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। ফলে বদ্ধ পানিতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। এতে সমস্যায় রয়েছে মহল্লাবাসী। এই পানির স্থায়ী সমস্যা সমাধানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সম্প্রতি সরেজমিন, ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সারটিয়া নতুনপাড়া মহল্লা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। কোন কোন বাড়িতে পানি উঠে গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা । পাশাপাশি আরো বেশ কয়েকটা পরিবার জমে থাকা পানির কারণে সমস্যা পড়েছেন । বিশেষ করে এই এলাকায় পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকার কারণে প্রতিবছরে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন বাসিন্দারা। সম্প্রতি এই পানি জমে থাকার কারণে এক ব্যক্তির বাগানের একটি বড় মেহগনি গাছ গভীর রাত্রে আরেক বাড়ির ঘরের চালার উপর পড়ে গিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। সেদিন অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিল ওই ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের দাবি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হওয়ার কারণে প্রতিবছরই এমন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের । তাই যত দ্রুত সম্ভব এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা। এদিকে জমে থাকা পানিতে মশা জন্ম নিচ্ছে। দিনে বা রাতে স্থানীয়রা মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্রুত পানি নিষ্কাশন ও মশা নিধনের জন্য পৌরসভা থেকে ফগার মেশিন ব্যবহার করতে হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, লোক দেখানোর জন্য মাঝে মধ্যে মশা নিধনের মেশিন বাজারের আশপাশ দিয়েই ব্যবহার করা হয় কিন্তু প্রকৃত মশার উৎপত্তিস্থলে কখনো যায় না তারা। এতে মশার উৎপত্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
পৌরসভায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন পাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার বিষয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌরসভার প্রশাসক তাসমিয়া আক্তার রোজি বলেন, যেহেতু বর্তমানে পৌরসভার কাউন্সিলর মেয়র কেহই নেই সে কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0 মন্তব্যসমূহ