ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের দ্বিগুন সুদে ব্যবসা করায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি পার্বতী সরকার (৫০) নামের এক গৃহবধু সিরাজুলের সুদের ব্যবসা থেকে পরিত্রান পেতে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি পৌর সদরের কালিবাড়ী শাহপাড়া এলাকার সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা বিমল কুমার সরকারের স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এদিকে গত ৫ আগস্টে হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই সিরাজ গা ঢাকা দিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে বাড়ির পাশের দক্ষিণমেন্দা মহল্লার বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেন পার্বতী সরকার। সে সময় ৩ লাখ টাকার সুদ হিসেবে প্রতি মাসে পার্বতী সরকারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। সে অনুযায়ী বিভিন্ন সময় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধও করেন পার্বতী সরকার। এরপরও সুদ-আসলে আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করেন আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল।
চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় সংখ্যালঘু নারী পার্বতীকে নানা হুমকি-ধামকি দেন সিরাজুল । নিরুপায় হয়ে একবার আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন ওই নারী। সম্প্রতি স্থানীয় ব্যক্তিদের পরামর্শে ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত সিরাজুল ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য ও চিহ্নিত সুদের কারবারি বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, '৩ লাখ টাকা ধার নিয়ে সিরাজুলকে তিনি ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন। এরপরও তিনি সুদে-আসলে আরও ৫ লাখ টাকা দাবি করছেন। টাকার জন্য তাদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। তার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে তিনি এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।'
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান,' আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল একজন সুদের কারবারি। মানুষকে চড়াসুদে টাকা ধার দেওয়াই তার পেশা। টাকা দেওয়ার সময় মানুষের কাছ থেকে সে ব্যাংকের ব্লাংক ব্যাংক চেক নেয়। সময় মতো টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন তিনি। তার খপ্পরে পড়ে এলাকার অনেকেই নিঃস্ব হয়েছেন। তিনি এলাকায় চিহ্নিত সুদের ব্যবসায়ী '
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের বক্তব্য নিতে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, 'ভুক্তভোগীর এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
0 মন্তব্যসমূহ