সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

পাবনার সাবেক এমপি প্রিন্সসহ আ.লীগের ১০৩ নেতাকর্মীর নামে মামলা

 


পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে গুলি করে দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় পাবনা সদর আসনের সাবেক এমপি ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ দলটির ১০৩ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। 


রোববার নিহত দুই শিক্ষার্থীর বাবা যৌথভাবে বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ৪ আগস্ট নিহত ওই শিক্ষার্থী হলো- পাবনা সদর উপজেলার চরবলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৯) ও ব্রজনাথপুর বেতেপাড়া গ্রামের মো. কালামের ছেলে মাহবুব হাসান নিলয় (১৬)। তাদের মধ্যে জাহিদুল পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের পঞ্চম বর্ষে এবং নিলয় শহরের ছিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। 


এমপি প্রিন্স ছাড়া মামলায় মূল আসামিরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খানসহ তাঁর তিন ভাই, পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সোহেল, পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সোহেল হাসান শাহিন, সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামিল হোসেন, রফিকুল ইসলাম রুমন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহাদ বাবু, সাবেক সেক্রেটারি তৌফিক ইমাম খান, বালু ব্যবসায়ী আলী হাসান চেয়ারম্যান প্রমুখ।


এজাহার বলা হয়, ৪ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের মিছিলে প্রকাশ্যে পিস্তল ও শটগান দিয়ে গুলি ছোড়েন পাবনা সদর আসনের সাবেক এমপি প্রিন্সসহ অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা। এতে ঘটনাস্থলেই জাহিদুল ও নিলয় নিহত হন। এ ছাড়া একই দিন পৃথক ঘটনায় ফাহিম হোসেন রাজ্জাক (১৭) নামের আরেক ছাত্রেরও মৃত্যু হয়। 


এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই দিন সাবেক এমপি প্রিন্স  আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী নিয়ে পিস্তল থেকে গুলি ছুড়ছে ছুড়তে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করছেন। তাঁর পাশে অনেকের হাতে ছিল শটগান, লোহার রড ও জিআই পাইপ।


এদিকে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা ইস্তফা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের এসব নেতাকর্মীর সবাই গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।    


এ বিষয়ে সাবেক এমপি প্রিন্সের মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। 


পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, পাবনার সব থানার কার্যক্রম এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। স্বাভাবিক হওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ