শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট)। এরপর প্রথমবারের মতো মেগাপ্রকল্প পাবনার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি। তিনি বলেন, 'রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা দেরি হতে পারে, তবে তা আশঙ্কাজনক কিছু নয়।'
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমনটি জানিয়েছেন আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি। এর আগে, জাতিসংঘের ঢাকা মিশন প্রধান গোয়েন লুইস পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, কে ক্ষমতায় থাকলো তা বড় বিষয় নয়, জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসাবেই থাকবে।
রুশ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, গত বছর রাশিয়া বাংলাদেশের কাছে ২২ লাখ ৭০ হাজার টন গম রপ্তানি করেছিল। এ বছরের প্রথম ৬ মাসে ১৯ লাখ টন গম রপ্তানি হয়েছে। এছাড়া কৃষিখাতের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে সার রপ্তানির সহযোগিতাও অব্যাহত থাকবে।
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের আওতাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর কম্পার্টমেন্টে রিফুয়েলিং মেশিনের প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হয় গত মাসে। রিয়্যাক্টর কোরে ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের জন্য এটি সর্বশেষ ধাপ। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ডামি ফুয়েল লোডিংয়ের পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্যে ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনের মুখে হুট করেই ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন তখনকার সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আত্মগোপনে চলে যান এবং অনেকে ধরাও পড়েন। এই অবস্থায় শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে শুরু হওয়া অন্যতম এই মেগা প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ নিয়ে জনমনে শঙ্কা দেখা দেয়।
বাংলাদেশের রূপপুরে রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দুই ইউনিট বিশিষ্ট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১,২০০ মেগাওয়াট। রসাটম ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন প্রকল্পের জেনারেল কনট্রাকটর এবং ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছে।
0 মন্তব্যসমূহ