সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

সুজানগরে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে রক্ত ঝরাচ্ছে আওয়ামী লীগ




ফয়সাল মাহমুদ পল্লব: পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে সংঘাতে রক্ত ঝরাচ্ছে আওয়ামী লীগ। মূলত: পাবনার সুজানগর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব এবং সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনের প্রকাশ্য দ্বন্দে আওয়ামী লীগে রক্তপাতের সূত্রপাত।

প্রথম ধাপে গত ৯ মে সুজানগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই সভাপতি বনাম সম্পাদক সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। উত্তেজনা আস্তে আস্তে রূপ নেয় সংঘাতে। গত ২১ জুন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সুজানগর উপজেলার রানিনগর ইউনিয়নের রানিনগর ক্লাবের সামনে আল আমিন মিয়া (৩৮) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। 

যুবলীগ নেতা আল আমিন মিয়া সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন গ্রুপের লোক ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।

ওই দিন নিহত আল আমিন আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরছিলেন, পথিমধ্যে রানিনগর ক্লাবের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।  

পরে সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত আল আমিন রানিনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বলে জানা গেছে।

এদিকে শাহীন গ্রুপের আল আমিন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পরলে এ ঘটনার জের ধরে ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। ওই হামলায় মোজাহার বিশ্বাসসহ আ: ওহাব গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। মোজাহার বিশ্বাসের‌ (৫৪) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ দিন পর গত ২৭ জুন তার মৃত্যু হয়।

এ সকল ঘটনায় এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে।

এ ২টি নৃশংস হত্যার ঘটনায় সুজানগর উপজেলার রানিনগর এলকায় সম্প্রতি নিউজ পাবনার একটি টিম এলাকাবাসীর সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার একজন শিক্ষক বলেন, এখনও দিনে-রাতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে উভয়গ্রুপ। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থেকে এলাকার মানুষ সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকে।

স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব এবং সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনের দ্বন্দে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আওয়ামী লীগ। নিজ দলের মধ্যে এই দ্বন্দ দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। জেলা ও  কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টির প্রতি নজর দিবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।        

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ