বার্তা সংস্থা পিপ, পাবনা : পাবনার সুজানগরের সরকারী ডাঃ জহুরুল কামাল ডিগ্রী কলেজের তরুণ কান্তী মন্ডল নামে এক শিক্ষককে কে মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দুলাই বাজার এলাকায়।
আহত ওই কলেজ শিক্ষক সুজানগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মনহরপুর গ্রামের মৃত নিরঞ্জন কুমার মন্ডলের ছেলে এবং ওই কলেজের ভূগোল বিষয়ের শিক্ষক।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষক বাদী হয়ে রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী সুজন আলী ওরফে স্বপন মাষ্টার নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সুজন আলী স্বপন পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের টাটিপাড়া গ্রামের মাহমুদ আলী খানের ছেলে ও দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
আহত শিক্ষক তরুণ কান্তী মন্ডল জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজ ভাড়া বাসা থেকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে ঝামেলায় জড়ান কেন বলেই মারধর শুরু করে সুজন আলী স্বপনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী।
পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুজানগর হাসপাতালে প্রেরণ করে। মারধরের এ ঘটনায় ওই কলেজেরই অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফের ইন্ধন থাকতে পারে বলেও জানান আহত ওই শিক্ষক।
তবে এ ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে সরকারী ডাঃ জহুরুল কামাল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ জানান, আমার কলেজের শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাই। পাশাপাশি মারধরের এ ঘটনার সাথে যে সকল সন্ত্রাসীরা জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট।
নিজেকে নির্দোষ দাবী করে অভিযুক্ত সুজন আলী স্বপন জানান, তরুণ কান্তী মন্ডল নামক ওই কলেজ শিক্ষক আমার পূর্ব পরিচিত। সে কলেজে যোগদানের পূর্বে ব্রাক দুবলিয়া শাখায় চাকুরী করত। সে সময় আমার থেকে কিছু টাকা ধার নেয়। সেই টাকা চাইতে গেলে প্রথমে তর্ক বিতর্ক এবং পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী সুজন আলী স্বপনকে শনিবার পাবনা কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামীদেরকেও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে সরকারী ডাঃ জহুরুল কামাল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চলে আসছে।
0 মন্তব্যসমূহ