সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

ভাঙ্গুড়ায় হঠাৎ বেড়েছে ছিঁচকে চোরের উপদ্রব




ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হঠাৎ বেড়েছে ছিঁচকে চোরের উপদ্রব। রাতের আঁধারে কিংবা দিনের আলোতে সুযোগ বুঝে চোরেরা নগদ টাকা-পয়সা ও প্রয়োজনীয় দ্রব্য নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। তবে পুলিশী ঝামেলা এড়াতে ওইসব ঘটনার অনেকেই মামলা কিংবা থানার দ্বারস্থ হচ্ছেন না। পুলিশ বলছে, এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা তৎপর রয়েছেন।


খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, গত পনের দিনে এ উপজেলায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার পৌর সদরের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা ঠান্টু আলম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে রাতে একটি কক্ষে ঢুকে নগদ অর্থ মোবাইলফোন চুরি করে নিয়ে যায়। তার কিছুদিন আগে বাটা জুরি এলাকার বাসিন্দা ও এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে দিনের বেলায় চোর ঢুকে প্রায় ৯০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ সময় তারা অন্য কক্ষে কাজ করছিলেন এবং বাড়ির প্রধান ফটক খোলা ছিল।  এর পর গত বুধবার (১৯ জুলাই) উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজারের কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটে। 


উপজেলা কৃষি অফিসের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, দুপুরের দিকে পাঞ্জাবি-পায়জামা পড়া ও মাথায় টুপি-দাঁড়িওয়ালা এক ব্যক্তি ঐ অফিস  কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশ করে। তখন তাকে ফোনে একটানা কথা বলতেও দেখা যায়। অফিসারের ব্যস্ততা বুঝে সে কক্ষে প্রবেশ করে এবং অফিসারের ড্রয়ার ও ব্যাগ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন জাহান , উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের সাথে পাশের কক্ষে মিটিং এ ব্যস্ত ছিলেন। 


অপর দিকে একই দিনে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রিতা রানীর  ব্যাগ থেকে টাকা চুরি হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি কম্পিউটারে কাজ করছিলেন।


তবে সাধারণ মানুষের ধারণা, এলাকায় আবার মাদক ও মাদক সেবনকারি উঠতি  বয়সির সংখ্যা বেড়েছে গিয়েছে। সে কারণে তারা মাদকের টাকা জোগাড় করতে দলবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে এমন চুরির কাজ করছে।


এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ঠ বিট অফিসারসহ পুলিশ প্রশাসন এলাকায় চুরি ও মাদকের বিরুদ্ধে নিরলসভাবে কাজ করছেন।


চুরির ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ