সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

পাবনায় গভীর রাতে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ



পাবনায় বিএনপির প্রচারপত্র বিলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও যুবলীগের পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে বিএনপি ও যুবদল নেতার বাড়িঘর, গাড়ি ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি নেতারা এই হামলা ও ভাংচুরের জন্য যুবলীগকে দায়ী করেছেন।


বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার আরিফপুরে একদল দুর্বৃত্ত জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপনের বাড়িতে হামলা চালায়। তার বাড়িতে হামলার পর পাশের জেলা যুবদলের সাবেক সহ-প্রচার সম্পাদক বাহার হোসেনের বাড়িতেও হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সড়কের পাশে বিএনপি নেতাদের দুটি দোকানে তা হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এরপর তারা হামলা চালায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নয়নের বাড়িতে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে হামলাকারীরা তাণ্ডব চালায়। এ সময় তারা একটি প্রাইভেট গাড়িও ভাঙচুর করে।


জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার জানান, শনিবার মধ্যরাতে দুর্বৃত্তরা আমাদের দলের একাধিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।


জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন অভিযোগ করেন, যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার বাড়িসহ যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে ব্যাপক ও ভাঙচুর করেছে। এ সময় আমার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।


এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তা জেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। যুবলীগের কেউ এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।


পাবনা সদর থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, কয়েকজন লোক সেখানে কয়েকটা দোকান ভাঙচুর করেছে। ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রসঙ্গত, রাজশাহীর বিএনপির সম্মেলন ঘিরে প্রচারপত্র বিলি করতে আরিফপুর হাজিরহাটে যান নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেন। উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। পরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাল্টা হামলা চালিয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনির ছোট ভাই পনি বিশ্বাসের গাড়ি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায়  বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীর নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে পাবনা থানায় মামলা করেন পনি বিশ্বাসের ম্যানেজার।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ