সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

পাবনায় লুট হওয়া স্বর্ণ উদ্ধার হলো শরণখোলায়!

 


পাবনার একটি জুয়েলারি দোকান থেকে লুট হওয়া সোনা উদ্ধার হয়েছে বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে। গ্রেপ্তার হয়েছেন এ ঘটনায় জড়িত সোনা চোরচক্রের ছয় সদস্য। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল শরণখোলা থানা পুলিশের সহযোগিতায় গতকাল রবিবার রাতে ও আজ সোমবার সকালে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের ওই সদস্যদের গ্রেপ্তার করে।  


গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শরণখোলা উপজেলার মধ্য খোন্তাকাটা গ্রামের রহমান হাওলাদারের ছেলে মালেক হাওলাদার (৪০), রুহুল আমিন হাওলাদারের ছেলে শহিদুল হাওলাদার (৫০), শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদার (৫০), আ. রব হাওলাদারের ছেলে ছোট বাবুল (৪৫), মোতালেব হাওলাদার (৪৫) এবং খেজুড়বাড়িয়া গ্রামের সম্বুনাথ কুলুর ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবুল কুলু (৪৩)।


তাদের কাছ থেকে সাড়ে তিন ভরি সোনা, ১০ ভরি সোনা বিক্রির সাত লাখ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ডিবি। তাদের মধ্যে চারজন শরণখোলা থানায় মাদক ও চুরি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।


অভিযানে নেতৃত্বদানকারী রাজশাহী ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জানান, গত ৩০ নভেম্বর রাতে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মল্লিকা জুয়েলার্স থেকে ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট হয়। এ ঘটনায় জুয়েলার্সের মালিক বাবু কর্মকার পরের দিন ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  


মামলাটির দায়িত্বভার ডিবি পুলিশকে দেওয়া হলে তারা চুরি যাওয়া স্বর্ণ উদ্ধার ও চুরির সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেন। প্রায় এক মাস ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরচক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হন তারা।


ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিশাল একটি গ্যাং রয়েছে। এরা সারা দেশে বড় বড় জুয়েলারি দোকানের শাটার ও তালা ভেঙে সোনা ও টাকা-পয়সা লুট করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শরণখোলার বানিয়াখালী বাজারের বাবুল কুলুর দোকান থেকে সাড়ে তিন ভরি সোনা এবং চোরচক্রের সদস্য শহিদুল হাওলাদারের কাছ থেকে ১০ ভরি সোনা বিক্রির সাত লাখ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি সোনা উদ্ধার ও চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হবে।


এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার ওসি মো. ইকরাম হোসেন জানান, আসামিদের শরণখোলা থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও মামলা যেহেতু ঈশ্বরদী থানায় তাই তদন্তের স্বার্থে ডিবি পুলিশ তাদের সেখানে নিয়ে গেছে। চোরচক্রের সদস্য শহিদুল হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার, আ. মালেক ও ছোট বাবুলের নামে চুরি ও মাদক মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ