রবিউল রনি: সমাজ সেবামূলক সংগঠন চেষ্টা এর সাথে পাবনার সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল ২৬ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটরিয়ামে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন চেষ্টার সভাপতি লায়লা নাজনীন হারুন। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সমকাল ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশন উত্তরবঙ্গের ব্যুরো প্রধান উৎপল মির্জা।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন চেষ্টা'র সাধারন সম্পাদক দিলরুবা বেগম, প্রচার সম্পাদক কনক মাহমুদ সুলতানা, সদস্য তাহমিনা সুলতানা, নাসিমা জামান, গুলশান নাসরিন চৌধুরী, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী দেওয়ান মাজহার মুন্নু।
অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন পাবনা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ হাসান আলী, এটিএন নিউজ এর পাবনা জেলা প্রতিনিধি রিজভী জয়, দৈনিক এ্যারোমা'র বার্তা সম্পাদক নবী নেওয়াজ, সিএনএফ টিভির চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ, দৈনিক আনন্দবাজারের পাবনা জেলা প্রতিনিধি শিশির ইসলাম, দৈনিক পাবনার বানীর বার্তা সম্পাদক রবিউল রনি, সাংবাদিক পলাশ ও অন্যান্যরা।
সভায় ঢাকা থেকে চেষ্টা'র নেতৃবৃন্দের আগমনে পাবনা আটঘড়িয়ার মুক্তিযোদ্ধা মৃত আজহার আলী খাঁ'র স্ত্রী মোছাম্মদ খোদেজা খাতুনকে দুইটি বাড়ি করে দেবার ইচ্ছেয় জায়গাটি সরে জমিনে দেখা এবং চারজন বীর কন্যাকে পুনর্বাসনের জন্য চারটি গাভী দেবার কথা উল্লেখ করে।
২০১১ সালে আত্মপ্রকাশ করা এই সংগঠন
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে যে সকল নারীরা বীরাঙ্গনা হয়েছেন শরীরের অঙ্গ হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আজ তারা অনেকেই অসহায় হয়ে জীবনের ভার বয়ে বেড়াচ্ছেন।
যুদ্ধ পরবর্তীতে এসব কন্যা, জায়া-জননীরা হারিয়েছেন তাদের সুখের সংসার। স্বামী গ্রহণ করেনি, বাবা স্নেহের কন্যাকে সংসারে ফিরিয়ে নেননি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আজ এই সকল বীর কন্যাদের জীবন বড়ই দুর্বিষহ। তারা আজ খেতে পারছেন না রোগে সোঁকে জর্জরিত ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা টুকুও তাদের জন্য বরাদ্দ নাই। তাদের অনেকেরই আজ মাথার উপর সামান্যতম আশ্রয়ের ছাউনি নাই। এই সকল বীর কন্যাদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন মনে করে সেই ইচ্ছা ও কর্তব্যের তাগিদে চেষ্টা কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য চেষ্টা ইতোমধ্যে হবিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহীর পুঠিয়া, নওগাঁর আত্রাই, হালুয়াঘাট, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, শেরপুর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, চাঁদপুর, বরিশাল, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, মৌলভীবাজার এবং ঢাকার আশেপাশে প্রায় ১০১ জন বীর কন্যাকে খুঁজে বের করে তাদের কাছে গিয়ে তাদের চির কষ্টের যাপিত জীবনের কথা জেনেছে।
পরবর্তীতে তাদের সামান্য চাহিদা অনুযায়ী তাদের হাতে গৃহ নির্মাণ সামগ্রী, দুধের গাভী, সেলাই মেশিন, শীত বস্ত্র, সাধারণ পরিধান কাপড়-চোপড় হস্তান্তর করেছে।
এছাড়াও ঈদের সময়ে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করেছে। বীর কন্যাদের সুধী সমাজের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ১০/১২ টি শুধী সমাবেশ করেছেন। এছাড়াও রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে প্রায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া কয়েকজন মেয়েকে এককালীন অর্থ সহায়তা দিয়েছে,
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ