পাবনা জেলা শহরের পুরোনো ও নতুন উভয় ক্ষেত্রে শীতবস্ত্রের বাজার বেশ জমে উঠেছে। শীত নিবারণের হাজারো পোশাকে বাজার এখন সয়লাব। শপিং মল বা রাস্তার পাশের ফুটপাতগুলোতে অনেক ক্রেতাই সাধ্যের মধ্যে শীতবস্ত্র কিনতে ভিড়ও করছেন। জেলা শহর বাদেও একই চিত্র দেখা গেছে পাবনার সব উপজেলাতেও।
কিছুদিন ধরেই ভোর রাত থেকে শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দিনের বেলা তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও রাত হলেই বাড়তে থাকে শীতের প্রকোপ। পৌষের ঠান্ডাকে টেক্কা দিতে তাই শুরু হয়ে গেছে মানুষের প্রস্তুতি।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে পাবনা শহরের হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানে শীতের নানা ধরনের গরম পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
ভ্যানে করেও বিক্রি করা হচ্ছে পুরোনো গরম কাপড়। এসব দোকানগুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। তবে, সন্ধ্যার পর থেকেই দোকানগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে।
পুরোনো সোয়েটার, জাম্পার, জ্যাকেট, ফুলহাতা গেঞ্জি, মোজা, মাফলার পাওয়া যায় খুব অল্প দামের মধ্যে দোকানগুলোতে।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরে শহরে শীতের প্রভাব কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় গরম পোশাকের বিক্রি ও কেনা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসব পোশাক কিনছেন। তবে দামে কিছুটা কম হওয়ায় অস্থায়ী বা ফুটপাতের দোকানগুলোতেই ভিড় করছে মানুষ। বিশেষ করে জ্যাকেট, সোয়েটার, টুপি, মোজা বিক্রির ধুম পড়েছে। তবে কম দামে গরম পোশাক কিনতে ফুটপাতের ভাসমান দোকানগুলোতে স্বল্পআয়ের মানুষের ভিড় করছেন।
পাবনা হকার্স মার্কেট এলাকার একজন কাপড় বিক্রেতা বলেন , ‘গ্রামাঞ্চলে অনেক আগে শীত জেঁকে বসেছে। তবে শহরে তেমন শীত অনুভূত হচ্ছিল না। গত কয়েকদিন ধরে পাবনা শহরে ধীরে ধীরে শীত বাড়ছে। এ কারণে শীতের কাপড়ের চাহিদাও বেড়েছে।’
আরেকজন বিক্রেতা বলেন, ‘শীতের কাপড় কেনার জন্য স্বল্পআয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনাও বেশি হচ্ছে। তবে আমাদের এখানে বেশিরভাগ ক্রেতা হচ্ছেন মধ্যবিত্তরা। কারণ তাদের বাজেট অনুযায়ী এখানে বেচাকেনা হয়ে থাকে।’
শীতের পোশাক কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘গ্রামগঞ্জের মত শহরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ছেলে মেয়ে এবং পরিবারের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছি।’
0 মন্তব্যসমূহ