এবিএম ফজলুর রহমান, পাবনা : সারা দেশে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে আতংকের শেষ নেই।
কিন্তু পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনাভাইরাসের আতংকের মধ্যেও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এমএসআর (মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল রিইকুইজিট) সামগ্রী ক্রয়ের জন্য দরপত্র গ্রহণ বাতিল করেননি।
রোববার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভাঙ্গুড়া থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্য্যালয়ে পৃথক পৃথক দৃশ্যমান বাক্সে তারা দরপত্র গ্রহণ করেন। এ নিয়ে ঠিকাদার ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও করোনাভাইরাসের মধ্যে দরপত্র গ্রহণকে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে বিধি মোতাবেক হয়েছে। কিন্তু এমন এমএসআর দরপত্র বাতিল করেছে দেশের অনেক উপজেলায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মার্চ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এমএসআর (মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল রিইকুইজিট) সামগ্রী ক্রয় করতে ঔষধপত্র, লিলেন, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, গজ ব্যান্ডেজ কটন, কেমিকেল রি-এজেন্ট এবং আসবাবপত্র সরকরাহের জন্য দ৬টি গ্রুপে ঠিকাদারদের নিকট থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
দরপত্র বিক্রি চলে ২৬ মার্চ দুপুর ২.৩০ পর্যন্ত। আর দরপত্র দাখিলের তারিখ ছিল ২৯ মার্চ ২০২০। কিন্তু সারা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমাণ রোধ করতে ২৬ তারিখ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি বেসরকারী সকল অফিস বন্ধ এবং কোন প্রকার গণজোমায়েত নিষেধ ও সকল দুরপাল্লার যান চলাচল নিষোধ করে বিশেষ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
এমন অবস্থায় সারা দেশের ন্যায় ভাঙ্গুড়াতে অঘোষিত লকডাউন চলছে। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সেদিকে না দেখে পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৯ মার্চই দরপত্র গ্রহণ করেন। এমন সিদ্ধান্তে ঠিকাদার ও স্থানীয় জনগণ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা ও আশপাশের কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ইউএনওর পছন্দমত লোককে কাজ দিতে এই আয়োজন’। লক ডাউন চলায় অধিকাংশ ঠিদাকার এই টেন্ডারে অংশ নিতে পারেননি। তারা এই দরপত্র বাতিল করে উপযুক্ত সময়ে পুন:দরপত্র আহবানের অনুরোধ করেন।
রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয় ও ভাঙ্গুড়া থানায় ঘুরে প্রত্যক্ষদর্শি জানান, উভয় স্থানে স্বাস্থ্য দফতরের দরপত্রের বাক্স আছে কিন্তু লোকজন নেই। রয়েছে চারিদিকে শুনসান নিরবতা।
দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোসা. হালিমা খানম সমকাল‘কে জানান, ৬ টি গ্রুপের মধ্যে ক গ্রুপে ২টি, খ গ্রুপে ৩টি, গ গ্রুপে ৪টি ঘ গ্রুপে ৩টি ঙ গ্রুপে ৩টি ও চ গ্রুপে ২ টি দরপত্র পড়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোসা. হালিমা খানম সমকাল‘ক জানান, সিভিল সার্জনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই করোনাভাইনরাস সংক্রমাণ পরিস্থিতির মধ্যে দরপত্র আহবান করেছি।
এ বিষয়ে ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, কারোনাভাইরাস সংক্রমাণ পরিস্থিতির মধ্যে উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসার ও এমএসআর দরপত্র কমিটির আহ্বায়কে তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মির্জা মেহেদী ইকবাল বলেন, এ ব্যাপারে তার কাছে কোন পরামর্শ নেওয়া হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ সব কাজ স্বাধীনভাবে করে থাকে। তবে করোনা ভাইরাসের সময় এ ধরণের দরপত্র মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে।
কিন্তু পাবনার ভাঙ্গুড়ায় করোনাভাইরাসের আতংকের মধ্যেও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এমএসআর (মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল রিইকুইজিট) সামগ্রী ক্রয়ের জন্য দরপত্র গ্রহণ বাতিল করেননি।
রোববার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভাঙ্গুড়া থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্য্যালয়ে পৃথক পৃথক দৃশ্যমান বাক্সে তারা দরপত্র গ্রহণ করেন। এ নিয়ে ঠিকাদার ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও করোনাভাইরাসের মধ্যে দরপত্র গ্রহণকে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে বিধি মোতাবেক হয়েছে। কিন্তু এমন এমএসআর দরপত্র বাতিল করেছে দেশের অনেক উপজেলায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মার্চ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এমএসআর (মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল রিইকুইজিট) সামগ্রী ক্রয় করতে ঔষধপত্র, লিলেন, সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, গজ ব্যান্ডেজ কটন, কেমিকেল রি-এজেন্ট এবং আসবাবপত্র সরকরাহের জন্য দ৬টি গ্রুপে ঠিকাদারদের নিকট থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
দরপত্র বিক্রি চলে ২৬ মার্চ দুপুর ২.৩০ পর্যন্ত। আর দরপত্র দাখিলের তারিখ ছিল ২৯ মার্চ ২০২০। কিন্তু সারা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমাণ রোধ করতে ২৬ তারিখ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি বেসরকারী সকল অফিস বন্ধ এবং কোন প্রকার গণজোমায়েত নিষেধ ও সকল দুরপাল্লার যান চলাচল নিষোধ করে বিশেষ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
এমন অবস্থায় সারা দেশের ন্যায় ভাঙ্গুড়াতে অঘোষিত লকডাউন চলছে। অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সেদিকে না দেখে পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৯ মার্চই দরপত্র গ্রহণ করেন। এমন সিদ্ধান্তে ঠিকাদার ও স্থানীয় জনগণ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা ও আশপাশের কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ইউএনওর পছন্দমত লোককে কাজ দিতে এই আয়োজন’। লক ডাউন চলায় অধিকাংশ ঠিদাকার এই টেন্ডারে অংশ নিতে পারেননি। তারা এই দরপত্র বাতিল করে উপযুক্ত সময়ে পুন:দরপত্র আহবানের অনুরোধ করেন।
রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয় ও ভাঙ্গুড়া থানায় ঘুরে প্রত্যক্ষদর্শি জানান, উভয় স্থানে স্বাস্থ্য দফতরের দরপত্রের বাক্স আছে কিন্তু লোকজন নেই। রয়েছে চারিদিকে শুনসান নিরবতা।
দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোসা. হালিমা খানম সমকাল‘কে জানান, ৬ টি গ্রুপের মধ্যে ক গ্রুপে ২টি, খ গ্রুপে ৩টি, গ গ্রুপে ৪টি ঘ গ্রুপে ৩টি ঙ গ্রুপে ৩টি ও চ গ্রুপে ২ টি দরপত্র পড়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মোসা. হালিমা খানম সমকাল‘ক জানান, সিভিল সার্জনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই করোনাভাইনরাস সংক্রমাণ পরিস্থিতির মধ্যে দরপত্র আহবান করেছি।
এ বিষয়ে ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, কারোনাভাইরাস সংক্রমাণ পরিস্থিতির মধ্যে উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা অফিসার ও এমএসআর দরপত্র কমিটির আহ্বায়কে তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মির্জা মেহেদী ইকবাল বলেন, এ ব্যাপারে তার কাছে কোন পরামর্শ নেওয়া হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ সব কাজ স্বাধীনভাবে করে থাকে। তবে করোনা ভাইরাসের সময় এ ধরণের দরপত্র মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে।

0 মন্তব্যসমূহ