রবিউল রনি: বেশিক্ষণ ধরে পানিতে নেমে থাকলে লাঠি হাতে মারতে আসেন মা। তবুও কেন যেন পুকুরের পানিতে নেমে একে অপরের গায়ে জল ছুড়াছুড়ি ছেড়ে ঘরে ফিরতেই চায়না তাদের মন।
মায়ের বকুনি উপেক্ষা করে চলমান অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রোদেলা দুপুরে মধ্য পুকুরে গ্রামের শিশুদের অবাধ জলকেলি কিছুটা স্বস্তির ছোঁয়া এনে দেয় কোমলমতি শিশুদের মাঝে।
পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে একাধারে তাপদাহ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। চলমান বাতাস যেন আগুনের কুন্ডলী বয়ে নিয়ে আমাদের গায়ে এসে লাগছে। তাপদাহের জন্য সৃষ্টি খরায় বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে বৈশাখের শেষ ভাগেও অনাবৃষ্টি দেখা দিয়েছে। প্রকৃতির ফল ফসল সহ মানবিক জীবন প্রক্রিয়ায় এর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে।
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ তাই নানা অজুহাতে পুকুরে নেমে অনেক্ষণ ধরে গোসল খেলাই এখন গ্রামের শিশুদের প্রধান অবকাশ। শহুরে জীবনে যা কিনা শুধু মাত্র কল্পনা।
ছবিটি দুপুর একটার দিকে পাবনার নাজিরপুরের কোন এক পুকুর থেকে তোলা।

0 মন্তব্যসমূহ