ছবিটি প্রতীকী
পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলায় গত এক সপ্তাহে ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬টি গরু মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে আরও প্রায় ৩০০ গরু। মারা যাওয়া গরুর মধ্যে বেশিরভাগই গাভী ও ষাঁড়। এছাড়া বেশ কিছু বাছুরও মারা গেছে। প্রাণিসম্পদ অফিসে ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন না থাকায় আরও গরুর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের আবু হানিফের ৮টি, আব্দুল মমিনের ৩টি, কালাম মৃধার ২টি, ফরিদ হোসেনের ১টি, আতিক হোসেনের ২টি ও আনোয়ার হোসেনের ১টি গরু মারা গেছে। এছাড়া দেবোত্তর পাড়া গ্রামের ময়নুল হোসেনের ১টি, রেজাউল করিমের ২টি, সরোয়ার খাঁর ১টি, আফজাল মোল্লার ২টি, রায়হান মোল্লার ১টি এবং জামাল হোসেনের ২টি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
সোনাহারা গ্রামের খামারি আবু হানিফ বলেন, তার ৮টি গরু রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি গ্রামের দু’জন পশু চিকিৎসককে দেখান। ৫-৬ দিন ধরে চিকিৎসা করানোর পরও গরুগুলো মারা যায়।
ওই গ্রামের অন্যান্য ভুক্তভোগী চাষিরা বলেন, তাদের এলাকায় ৫-৬ জন গ্রাম্য পশু চিকিৎসক রয়েছেন। এজন্য তারা শুরুর দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যাননি। পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় তারা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, গরুগুলো ক্ষুরারোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আক্রান্ত গরুগুলোর রক্তসহ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ২টি গ্রামের খামারিদের সঙ্গে তাদের কথাও হয়েছে। তাদের অফিসে আপাতত ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ