রেলপথমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে রেলকে একেবারে স্থবির করে দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখান থেকে রেলকে ট্রেনে তুলেছেন, রেল মন্ত্রণালয়কে পুনরুজ্জীবিত করেছেন।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় পাবনার ঈশ্বরদী শহরের ফতেহমোহাম্মপুরে অবস্থিত লোকোমোটিভ ডিজেল কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, রেলওয়েতে শ্রমিক সংকট রয়েছে। কারণ আমাদের দক্ষ জনশক্তি নাই। এখন আমরা দ্রুত লোক নিয়োগ করে ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে রেলকে আধুনিক করতে এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়কে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে চেষ্টা করছি।
আমরা বিভিন্ন সমীক্ষার মাধ্যমে রেলওয়ের লোকোমোটিভ কারখানাগুলোর কর্মক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আধুনিকায়ন চলছে, সম্প্রসারণ চলছে। জনগণকে সবচেয়ে সস্তায় পরিবহনের সুযোগ দিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চেষ্টা করছেন। আমরা তার নির্দেশ মোতাবেক স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজ করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ গালিব, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহা-ব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম, ঈশ্বরদী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণসহ অনেকে।
এছাড়া এসময় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সব দপ্তরের কর্মকর্তা, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও রেলওয়ের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সড়কপথে ঈশ্বরদীর পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ভিআইপি রেস্টহাউসে পৌঁছে রাত্রীযাপন করেন। সকাল পৌনে ১১টায় তিনি ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানায় আসেন। সেখানে মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পাবনা জেলা প্রশাসন, ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন, বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তা ও শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সদর দপ্তরের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের দপ্তরে পৌঁছালে পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফ এবং রাজশাহী ও পাকশী রেলওয়ে শ্রমিকলীগের নেতাকর্মী মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও সম্মাননা ক্রেস্ট দেন।
এসময় শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীকে ১৩ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন। পরে মন্ত্রী পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) কক্ষে এক মতবিনিময়ে অংশ নেন।
0 মন্তব্যসমূহ