ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মরা গরু জবাই করে তার মাংস বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে এলাকাবাসীর হাতে আটক হয় ফরিদ হোসেন (৩০) ও স্বপন আলী (৩২) নামে দুই কসাই।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতে ১০ হাজার টাকা করে দুইজনকে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজি বুধবার (০৯ আগস্ট) বিকালের দিকে উপজেলার উত্তর মেন্দা গ্রামে এই অভিযান চালিয়ে এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, হারোপাড়ার বাসিন্দা ও মৃত আবুল কালামের ছেলে ফরিদ ও বড়াল মাঠ পাড়ার বাসিন্দা শাফি ইসলামের ছেলে স্বপন দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গুড়া শরৎনগর বাজারে শহিদুল ইসলামের মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করে।
বুধবার দুপুরের দিকে তাদের একটি গরু মারা যায়। এ দিন বিকালে ফরিদ ও স্বপন চাকু, ছুরি ও চাপাতি সহ মরা গরুটি একটি পিকআপ গাড়িতে নিয়ে সিংগাড়ি এলাকায় জবাহ করেন। পরে লোক জনের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই গাড়ি যোগে মন্ডতোষ ইউনিয়নের উত্তর মেন্দা গ্রামের একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে গাড়ি থেকে নামায়। সেখানে তারা অসুস্থ্য মৃত গরুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে।
এমন সময় স্থানীয় জনতা টের পেয়ে বাসিন্দারা তাদেরকে আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন।
পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ঘটনাস্থলে গিয়ে মরা গরুর বিষয়টি নিশ্চিত হলে অভিযুক্ত ফরিদ ও স্বপনকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। পাশাপাশি ওই অসুস্থ্য মৃত গরুর মাংস মাটিতে পুতে রাখার নিদেশ দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙ্গুড়া থেকে অসুস্থ্য মৃত গরু গাড়ি যোগে নিয়ে এসে নির্জন স্থানে জবাই ও বিক্রির উদ্দেশ্যে মাংস তৈরি করা বড় ধরনের অপরাধ। তাদের আরও বেশি শাস্তি হওয়া দরকার ছিল।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত কসাই ফরিদ হোসেন ও স্বপন আলী বলেন, তাদের ভুল হয়েছে । এমন কাজ আর কখনো না করার অঙ্গীকার করেন তারা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজি বলেন, মরা গরুর মাংস বিক্রির জন্য প্রস্তুত করায় পশূ জবাইও মাংসের মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ এর ২৪ ধারা অমান্য করার অপরাধে ১৭ ধারায় দুই ব্যক্তিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ