সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

ভাঙ্গুড়ায় বড়াল নদী দখল করে ভবন নির্মাণ!



ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ ‘নদী বাঁচলে, বাঁচবে দেশ’- নদী রক্ষা কমিশনের জাতীয় স্লোগান হলেও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বড়াল নদী দখল করে সরকারি কর্মকর্তার ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। 

উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়াপাড়া এলাকায় বড়াল নদী দখল করে  মোতাহার হোসেন নামের এক ইউপি সচিব ভবন নির্মাণ করেছেন। তিনি খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

সম্প্রতি এলাকাবাসীর অভিযোগে সরেজমিন পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়াপাড়া বড়াল নদী এলাকায়  দেখা গেছে, খানমরিচ ইউনিয়নের সচিব মোতাহার হোসেন নামের এ ব্যক্তি বড়াল নদী দখল করে নতুন ভবন নির্মাণ করছেন। 

তিনি পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের টলটলিয়াপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা ও ওই মহল্লার মৃত তোফাজ্জল এর ছেলে। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বেশ খানিকটা দখল করে কয়েকজন শ্রমিক রড সিমেন্ট দিয়ে ভিত দিয়ে ৪টি পিলারের নিচের অংশ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেছেন। এর আগে নদীর কিছু অংশ মাটি ফেলে ভরাট করেছেন। নদী দখল করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি। 

নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্মাণকারি শ্রমিকরা বলেন তারা কিছুই জানেন না। অথচ ওই নদীর অপর পাড়ে উপজেলা প্রশাসনের দফায় দফায় নিষেধ আমন্য করে নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করায়  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ ভবন গুড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার কিছুদিন পরেই তিনি একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে কিভাবে নদী দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন এমন প্রশ্ন স্থানীয় মানুষদের। 

ঘটনার বিষয়ে খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও ভবনের মালিক মোতাহার হোসেন বলেন, এখন শুধু তিনি পিলার নির্মাণ করছেন। পরে সময় বুঝে ভবন নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে নদী দখল করে কিভাবে ভবন নির্মাণ করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রয়োজন হলে পরে ভেঙ্গে দিবেন।

এবিষয়ে চাটমোহর বড়াল নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এসএম মিজানুর রহমান, নদী দখল করে নির্মিত ভবন অতিদ্রুত ভেঙ্গে দিয়ে নদী দখল মুক্ত করে নদী দখলবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান জানান, নদী দখলের কারো সুযোগ নেই। অতিদ্রুত নদী দখল করে ভবন নির্মাণের অংশ ভেঙ্গে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ