কেউ না কেউ সহযোগিতা করছেন তাদের অসহায় মুখ দেখে কিন্তু ভিক্ষার এ টাকা দিয়ে অনেকেই করছেন মাদক সেবন। বেশ কিছুদিন ধরে এই ভিক্ষুকদের অনুসরন করে দেখা গেছে এদের কারো কারো পরিবার পরিজন নেই। বা থাকলেও পরিবার থেকে বের করে দিয়েছে। উপায়ান্তর না দেখে নেশার টাকা যোগাতে তারা বেছে নিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি। তারা সহজেই সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করিয়ে ধোকা দিয়ে মাদক সেবন করছে।
বেশ কিছুদিন ধরে পাবনা শহরে একজন ভিক্ষুক সেজে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে আবার কখনো বোনের বিয়ের কথা বলে টাকা তুলছেন। অতি গোপনে তার পিছু নিয়ে দেখা যায় আসলে সে এই টাকা দিয়ে মাদক কিনছে এবং নেশা করছে।
আরেকজন বাবার অপারেশনের কথা বলে ভিক্ষা করে সেই টাকা দিয়ে নেশা করছেন। সাধারন মানুষ সহজেই এসব বিপদের কথা শুনে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন, কোন মানুষের তো প্রকৃত ঘটনা খোঁজ নেওয়ার সময় নেই। যার ফলে তাদের নিত্যদিন চলছে এমন কার্যক্রম।
শহরে এখন হরহামেশাই এসব লোকের দেখা পাওয়া যায়, পাবনা নতুন ব্রিজের নিচে বসবাস করা মনির (ছদ্মনাম) নামের একজনকে বেশ কিছুদিন দেখা যাচ্ছে প্রথমে নিজের পায়ের আঙুল কেটে ফেলে সেটার চিকিৎসার নামে টাকা তুলে মাদক সেবন করে এখন আবার পায়ের একটা অংশ কেটে ফেলে তা দেখিয়ে ভিক্ষে করে নেশা করছে।
খোজ নিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে দিনের পর দিন নানা কৌশলে ভিক্ষা করে টাকা জমিয়ে নেশা করছে তারা।
এ বিষয় এ পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, এটা আসলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে, কারন এখন সরকারিভাবে জনগন নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, তারপরও এক শ্রেনীর মানুষ এগুলোকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি, এবং এ বিষয়টা আমার নজরে এসেছে এমন অনেকেই আছেন যারা মাদক সেবন এর জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করছেন আমরা খুব শিঘ্রই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।’
0 মন্তব্যসমূহ