সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

পাবনা জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা করোনাযোদ্ধা কাকলী

 



করোনাকালে ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়ে পাবনা জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলার করোনাযোদ্ধা আতিয়া ফেরদৌস কাকলী।


সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে তিনি শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি ঈশ্বরদী উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন।


আতিয়া ফেরদৌস কাকলী ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মৃত আনিসুন্নবী বিশ্বাস ও স্কুল শিক্ষিকা জাহানারা বেগমের মেয়ে।


শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) পাবনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তার হাতে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স ও জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল। 


এ সময় পাবনা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রেবেকা সুলতানাসহ জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।


জানা গেছে, করোনার সময় গঠিত ঈশ্বরদী উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন আতিয়া ফেরদৌস কাকলী। দুঃস্থ, অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া অসংখ্য মানুষকে তিনি খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। 


এছাড়াও করোনা আক্রান্তের ভয়কে তুচ্ছ করে রেলস্টেশন, বাসস্টেশন ও শহরের ভ্রাম্যমাণ ভিক্ষুক, মানসিক ভারসাম্যহীন নিরন্ন ও ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও করোনায় নিঃস্ব হয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাকে সবাই করোনাযোদ্ধা হিসেবে অভিহিত করেছেন।


তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুঃস্থদের ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও শিশুদের ঈদ পোশাক কিনে দিয়েছেন। তিনি আলোড়ন মহিলা কল্যাণ সমিতি প্রতিষ্ঠা করে দুঃস্থ ও কর্মহীন নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দিয়ে নারীদের স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা করেছেন। 


শিক্ষার মনোন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। মিরকামারী আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ঈশ্বরদী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিদ্যুৎসাহী সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজ ও শিক্ষার মানোন্নয়নে তিনি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।


একজন নারী নেত্রী ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকার নানান উন্নয়ন কাজে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন।


আতিয়া ফেরদৌস কাকলী বলেন, আমি সাধ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। করোনার সময় বিশেষ করে মহিলারা ঘর থেকে বের হয়নি। আমি সকালে ঘর থেকে বের হয়ে রাত ১০টার আগে বাড়িতে ফিরতে পারিনি। করোনার সময়ে দুঃস্থ, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ