সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

পাবনায় পাঁচটি আসনে ১১ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ


পাবনার পাঁচটি সংসদীয় আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জেলা রিটার্নিং অফিস সূত্র জানায়, পাবনা-৫ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। আজ বিকেলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মেনে পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদ মোস্তফার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।

এছাড়াও আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলা বিএনপি আহ্বায়ক ও পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, কৃষকদল কেন্দ্রীয় সভাপতি ও পাবনা-৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর) আসনের জন্য কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, পাবনা-১ (সাঁথিয়া, বেড়ার আংশিক) আসনে জামায়াতের ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, পাবনা-২ (সুজানগর, বেড়ার আংশিক) আসনে জামায়াতের অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিন, পাবনা-৫ (সদর) আসনে জামায়াতের প্রিন্সিপ্যাল ইকবাল হোসাইনসহ ১১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের শিমুল বিশ্বাস বলেন, বিগত পাঁচটি নির্বাচনে ভোট হয়নি। দিনের ভোট রাতে হয়েছে, বাইরে থেকে বসিয়ে দিয়ে ভোটবিহীন সরকার গঠন করা হয়েছে। তবে এবার আমরা সুন্দর একটি ভোট প্রত্যাশা করছি। ষড়যন্ত্র ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা এ নিয়ে বিচলিত নই। পতিত স্বৈরাচার সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। এক হাজার ২০০ নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, ১০ হাজার নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া পর্যন্ত জেল খেটেছেন। বিএনপির ত্যাগের শেষ নেই। এর পরও আমরা শুধু বিএনপি নয়, সবাইকে নিয়ে দেশটা গড়তে চাই। মসজিদের ইমামসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি ভাতা, কৃষকদের কৃষি কার্ড, ফ্যামিলি কার্ডসহ দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। তারেক রহমানের স্পষ্ট বার্তা- দুর্নীতিগ্রস্তদের রাজনীতির দিন শেষ। একটি নিরাপদ দেশ গড়া হবে। এ জন্য দেশের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা ধানের শীষে ভোট দিয়ে একটি নিরাপদ ও উন্নত দেশ গড়তে সহযোগিতা করুন।

এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন এ শ্রমিকনেতা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মির্জা আজিজুর রহমান, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু, সদস্য সচিব মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাস্টার, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আবু ওবায়দা তুহিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, কে এম মুসা, রেহানুল ইসলাম বুলাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বাচ্চুসহ অনেকেই।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামী ২৯শে ডিসেম্বর। 

মনোনয়নপত্র বাছাই – ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে ৪ জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত। 

মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আপিলের তারিখ আগামী ৬ থেকে ১২ই জানুয়ারি পর্যন্ত।

মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১১ই জানুয়ারি পর্যন্ত; আপিল নিষ্পত্তি ১২ই জানুয়ারি রোজ সোমবার থেকে ১৮ই জানুয়ারি।

রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবে ২০শে জানুয়ারি পর্যন্ত।

চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১শে জানুয়ারি, ২০২৬।

নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে ২২শে জানুয়ারি থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ